সোমবার, ৩১ মে, ২০১০

মহান ও মহৎ ছাত্রলীগের দায় নিয়ে রাবির ছেলেরা হলো কুলাঙ্গার

ছাত্রীদের রক্ষায় বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে না আসার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। দুপুরের দিকে ক্যাম্পাস মোটামুটি নীরব থাকে এবং এ সময় কোনো অঘটন ঘটলে তার কোনো দায়দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে না বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগের বেপরোয়া চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং ছাত্রী লাঞ্ছনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
জানা যায়, সম্প্রতি ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের কাছ থেকেও গণহারে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। ক্যাম্পাসে চলাচলরত ছাত্রীদের ব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া, নির্জন এলাকায় পেলে ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করার ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের জানমাল রক্ষায় এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
গত ১০ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের সবগুলো আবাসিক হলে এ নোটিশ টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, দুপুরের দিকে ক্যাম্পাসে তুলনামূলক শিক্ষার্থী কম থাকে। এ সময় আবাসিক ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। নোটিশে বলা হয়, যদি কোনো ছাত্রী এ সময় ক্যাম্পাসে বের হয় এবং দুর্ঘটনা ঘটে তবে তার দায়দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে না।
এ দিকে ছাত্রলীগের অপকর্ম নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগ না নিয়ে এভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনেদুপুরে ছাত্রীদের চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই বিস্মিত হয়েছেন। কোনো সভ্য দেশে এটি মেনে নেয়া যায় না বলে মত প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানান, রাতে ছাত্রীদের বাইরে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞার কথা শুনেছি, কিন্তু এভাবে ভরদুপুরে হলের বাইরে বের হতে না দেয়ার কথা কোনো দিন শুনিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা মেনে নেয়া যায় না।
জানা যায়, ছাত্রলীগের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে। হলের সাধারণ ছাত্রদের কাছ থেকে যখন যার কাছ থেকে খুশি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে বসে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রুমে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন সিগারেট দিয়ে সেকা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এক ছাত্রকে পুলিশে তুলে দেয় ছাত্রলীগ এবং অভিভাবককে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনতে হয়। ছাত্রীদের ব্যাগ, কান ও গলার অলঙ্কার ছিনিয়ে নেয়াসহ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্রী লাঞ্ছনার ঘটনাও উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যায়। সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ছাত্রী লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটলেও এর কোনো প্রতিকার না হওয়ায় এ প্রবণতা আরো বেড়ে যেতে থাকে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পুলিশ এবং প্রশাসনের সামনেই এসব ঘটনা ঘটলেও তারা সাধারণ ছাত্রদের রক্ষায় কোনো ভূমিকা পালন করছে না।


অতপর কি দাড়ালো, মহা ও মহৎ ছাত্রলীগের হাসিনা কতৃক লাল টিকেটের কারণে ছাত্রীরা বেলা দুটো থেকে ৪ পর্যন্ত স্বাধীন চলাচল করতে পারবে না, করলেও যদি যদি ছাত্রলীগ বা কোন পুরুষ পশু কতৃক কোন অঘটন ঘটে তবে তার দায় প্রশাসনের নয় । তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে, মহান ও মহৎ ছাত্রলীগের দায় বহন করবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্ররা কারণ তারা প্রতিবাদী হয়ে ছাত্রলীগের এই অন্যায় তাদের ক্যাম্পাস থেকে রুখতে পারছে না তাই তারা কুলাঙ্গার হইয়া রাবি'র ছাত্র হইয়া শিক্ষা লাভ করিতে লাগিল ।

আবদুল গফ্ফার চৌধুরী'র ভালো মানুষ জয়নাল হাজারী বলেছেন; "বাঘ রক্ষা নয় ধ্বংস করব"

বরে প্রকাশ, সুন্দরবনের উভয় অংশে বাঘ রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারত একটি যৌথ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। বিশ্বব্যাংক নাকি এই প্রকল্পের অর্থ জোগান দেবে। যে বাঘ মানুষ হত্যা করে মানুষের মাংস খায়, সেই মানুষরাই মানুষখেকো বাঘকে রক্ষা করবে কেন? আমি বুঝতে পারি না। বাঘের দুধ কিংবা মাংস মানুষ খায় না, বাঘের হাড় কিংবা দাঁত, রক্ত মানুষের কোনো কাজে আসে না। শুধুমাত্র দেখতে সুন্দর সে কারণে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে বাঘ রক্ষার যুক্তি আমি খুঁজে পাই না।

বাঘ সবচেয়ে সুন্দর প্রাণী হরিণ খায়, মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় প্রাণী গরু, মহিষ, ছাগলসহ সবই মেরে খেয়ে ফেলে। এই হিংস্র ঘাতক প্রাণীটিকে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত করে দেয়া উচিত। ডিসকভারি চ্যানেলে যখন দেখা যায়, একটি হিংস্র বাঘ একটি সুন্দর নিরীহ হরিণকে মেরে ফেলছে, তখন গা শিউরে উঠে। বাঁচিয়ে রেখে নয়, বরং সব বাঘ মেরে ফেলে ওদের চামড়া দিয়ে জুতা তৈরি করা হোক। ওদের চামড়া ড্রয়িং রুমে সাজিয়ে রাখা হোক।

সুন্দরের জন্য বাঘ নয়, প্রজাপতি রক্ষা করা হোক। মশা মানুষের ক্ষতি করে, সেজন্য মশাকে মেরে ফেলা হয়, তাহলে যে বাঘ মানুষ খুন করে তাকে রক্ষা করা হবে কেন?

খবরে প্রকাশ, আইলা-বিধ্বস্ত এলাকায় এক বছরে বাঘের পেটে গেছে ৭২ জন মানুষ। আর প্রতিনিয়ত খবরে প্রকাশ হয়, নৌকা থেকে হঠাৎ মানুষকে নিয়ে গিয়ে বাঘেরা খেয়ে ফেলে। মোট কথা, যে বাঘ মানুষ হত্যা করে মানুষকে খেয়ে ফেলে আমি সেই বাঘের অস্তিত্ব রাখতে চাই না।

একদিন যখন আমি বাঁধনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম, তখন এদেশের প্রথম শ্রেণীর জাতীয় দৈনিকেও আমার বিরুদ্ধে সম্পাদকীয় লিখেছিল। আজ গণরোষের ভয়ে শুধু দেশ ছেড়ে নয়, বাঁধন বিদেশেও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মতো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি জানি একদিন অনেক মানুষই বাঘ রক্ষা নয় বরং বাঘ নিধন করতে চাইবে। আমি বাঘ রক্ষার বিরুদ্ধে শুধু সাধারণ অবস্থান নয়, এর বিরুদ্ধে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে তুলব।

লেখক: সাবেক সংসদ সদস্য, ফেনী।

( আজ ২৮ মে ২০১০ দৈনিক আমাদের সময়ে প্রকাশিত)

আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল রাজাকার পরিবারের সদস্য : একাত্তরে বড় ভাইয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন

আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য এ অভিযোগ সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য তার নেতৃত্বেই ঢাকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠিত হয় একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সঙ্গে লিয়াজোঁ রক্ষা করতেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই স্বাধীনতাবিরোধী কাজে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগিতা করেন মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকানাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবেও চাকরি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন অ্যাডভোকেট কামরুল
নেজামে ইসলাম পার্টি ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইউনানী চিকিত্সক ও ঢাকা তিব্বিয়া হাবিবিয়া ইউনানী কলেজের অধ্যক্ষ হাকিম খুরশিদুল ইসলামের চার ছেলে তারা হচ্ছেন যথাক্রমে হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও মোরশেদুল ইসলাম ১৯৫৭ সালে হাকিম খুরশিদুল ইসলামের মৃত্যুর পর বড় ছেলে হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম এ কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন পর্যায়ক্রমে তিনি এ কলেজের অধ্যক্ষ হন একই সঙ্গে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন পরে তিনি তত্কালীন পাকিস্তান নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হন ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামে ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায় প্রচারণা চালানোর জন্য ‘নেজামে ইসলাম’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করা হয় হাকিম আজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিবুর রহমানসহ পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি এ পত্রিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে প্রতি সপ্তাহে একটি বিশেষ সম্পাদকীয় লেখেন
মাত্র ৭ বছর বয়সে পিতাকে হারিয়ে কামরুল ইসলাম বড় ভাই হাকিম আজিজুল ইসলাম ও ভাবী ফয়জুন নেছা রানুর স্নেহাশীষে বড় হতে থাকেন বেগম ফয়জুন নেছা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সম্পর্কে আমার দেশকে বলেন, ১৯৬১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আমি তাদের পরিবারে আসি এ সময় কামরুল ছিল ১০-১১ বছরের কিশোর আমার স্বামীই তার ভাই-বোন নিয়ে ১৩-১৪ জনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন ছোট ভাই-বোনদের পড়ালেখার খরচ জোগাতেন তিনিই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কামরুলের বয়স ছিল ২১ বছর ওই সময় আমরা সবাই এক বাসাতেই ছিলাম যুদ্ধে তার স্বামী হাকিম আজিজুল ইসলাম ও দেবর অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অতকিছু বলতে পারব না এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যায়- এমন সত্য প্রকাশ উচিত হবে না তবে এতটুকু বলতে পারি, স্বাধীনতার পরপরই বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপির নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী আমাদের বাসায় হামলা করে এবং আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায় সেই সঙ্গে হামলাকারী মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সবাইকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকিও দিয়ে যায় এর একদিন পরেই মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা আমার স্বামীর পরিধেয় বস্ত্র ও চশমা আমার কাছে পাঠায় পরে আমার দেবর কামরুল ইসলাম ও মামুন নামে একজন ম্যাজিস্ট্রেট বহু খোঁজাখুঁজির পর একটি পরিত্যক্ত গর্ত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আমার স্বামীকে উদ্ধার করেন
পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার ৪৮/১, আজগর লেনে অবস্থিত অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের বাড়ির আশপাশের লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসই বড় ভাই হাকিম আজিজুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন আজিজুল ইসলাম ২০০৫ সালে মারা যান পিতা হাকিম খুরশিদুল ইসলামের রেখে যাওয়া জায়গায় তারা ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন বর্তমানে এ বাড়িটি ইসলামী ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে আমি শিশুকাল থেকেই চিনি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বড় ভাইয়ের সঙ্গেই থাকতেন এবং তার কাজে সহযোগিতা করতেন ১৯৯৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন এর আগে ১৯৮৫ সালে এলএলবি পাস করে আইন ব্যবসা শুরু করেন ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ৬৪ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত পার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এ নির্বাচনে তিনি বিএনপি প্রার্থী কামালউদ্দিন কাবুলের কাছে পরাজিত হন মূলত এ সময় থেকেই তিনি আওয়ামী লীগ রাজনীতির পক্ষে সোচ্চার হন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সাম্প্রতিক কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, অতীতে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ভূমিকা যাই থাকুক, বর্তমানে তিনি এলাকাবাসীর সুখ-দুঃখের সঙ্গী এলাকার সব উন্নয়নমূলক কাজেই তিনি কল্পনাতীত ভূমিকা রেখে চলেছেন
তিব্বিয়া হাবিবিয়া কলেজে হাকিম আজিজুল ইসলামের এক সময়ের সহকর্মী জানান, আজিজুল ইসলাম সাহেব ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কলেজে যোগ দেয়ার আগে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন পাশাপাশি তিনি প্রেস ব্যবসা করতেন এবং একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন হাকিম আজিজুল ইসলামের প্রেসেই কামরুল ইসলাম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের মতো রাজাকারের সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত কিনা, প্রশ্নের জবাবে হাকিম আজিজুল ইসলামের স্ত্রী ফয়জুন নেছা রানু আমার দেশকে বলেন, আমরা সবাই এদেশেরই মানুষ সব দেশেই সব সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করে না কেউ কেউ ভিন্নমতও পোষণ করে থাকে ভিন্নমত পোষণ করাটা কোনো অপরাধ নয় বরং এটা গণতান্ত্রিক অধিকার বর্তমানে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বলে যা করা হচ্ছে তা জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয় বিচারের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্থার প্রধান আবদুল মতিন স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠায় তিনি পদত্যাগ করেছেন খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এ ধরনের অভিযোগ সরকারের অনেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে কাজেই এখন উচিত হবে এগুলো খোঁজাখুঁজি করে জাতিকে বিভক্ত না করা একই সঙ্গে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে কেননা কেউ এ দেশে গ্রিনকার্ডধারী নন ইচ্ছা করলেই কাউকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা যাবে না দেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে
এ বিষয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমার দেশকে তিনি বলেন, আমার ভাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেননি তিনি রাজাকার কিংবা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী ছিলেন—এ ধরনের কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না মুক্তিযুদ্ধে তার নিজের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ)-এর প্রথম ব্যাচের সদস্য হিসেবে আমি ভারতের দেরাদুন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি আমাদের ওই ব্যাচে হাসানুল হক ইনু, আফম মাহবুবুল হক ও শরীফ নুরুল আম্বিয়াসহ অনেকেই ছিলেন কাজেই আমার ব্যাপারে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়

সূত্র: http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/05/27/33795

আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল রাজাকার পরিবারের সদস্য : একাত্তরে বড় ভাইয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন

আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য। এ অভিযোগ সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য তার নেতৃত্বেই ঢাকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠিত হয়। একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সঙ্গে লিয়াজোঁ রক্ষা করতেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই স্বাধীনতাবিরোধী কাজে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকানাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবেও চাকরি করেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন অ্যাডভোকেট কামরুল।
নেজামে ইসলাম পার্টি ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইউনানী চিকিত্সক ও ঢাকা তিব্বিয়া হাবিবিয়া ইউনানী কলেজের অধ্যক্ষ হাকিম খুরশিদুল ইসলামের চার ছেলে। তারা হচ্ছেন যথাক্রমে হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও মোরশেদুল ইসলাম। ১৯৫৭ সালে হাকিম খুরশিদুল ইসলামের মৃত্যুর পর বড় ছেলে হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম এ কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পর্যায়ক্রমে তিনি এ কলেজের অধ্যক্ষ হন। একই সঙ্গে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি তত্কালীন পাকিস্তান নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হন। ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামে ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায় প্রচারণা চালানোর জন্য ‘নেজামে ইসলাম’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করা হয়। হাকিম আজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শেখ মুজিবুর রহমানসহ পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি এ পত্রিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে প্রতি সপ্তাহে একটি বিশেষ সম্পাদকীয় লেখেন।
মাত্র ৭ বছর বয়সে পিতাকে হারিয়ে কামরুল ইসলাম বড় ভাই হাকিম আজিজুল ইসলাম ও ভাবী ফয়জুন নেছা রানুর স্নেহাশীষে বড় হতে থাকেন। বেগম ফয়জুন নেছা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সম্পর্কে আমার দেশকে বলেন, ১৯৬১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আমি তাদের পরিবারে আসি। এ সময় কামরুল ছিল ১০-১১ বছরের কিশোর। আমার স্বামীই তার ভাই-বোন নিয়ে ১৩-১৪ জনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। ছোট ভাই-বোনদের পড়ালেখার খরচ জোগাতেন তিনিই। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কামরুলের বয়স ছিল ২১ বছর। ওই সময় আমরা সবাই এক বাসাতেই ছিলাম। যুদ্ধে তার স্বামী হাকিম আজিজুল ইসলাম ও দেবর অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অতকিছু বলতে পারব না এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যায়- এমন সত্য প্রকাশ উচিত হবে না। তবে এতটুকু বলতে পারি, স্বাধীনতার পরপরই বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপির নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী আমাদের বাসায় হামলা করে এবং আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে হামলাকারী মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সবাইকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকিও দিয়ে যায়। এর একদিন পরেই মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা আমার স্বামীর পরিধেয় বস্ত্র ও চশমা আমার কাছে পাঠায়। পরে আমার দেবর কামরুল ইসলাম ও মামুন নামে একজন ম্যাজিস্ট্রেট বহু খোঁজাখুঁজির পর একটি পরিত্যক্ত গর্ত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আমার স্বামীকে উদ্ধার করেন।
পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার ৪৮/১, আজগর লেনে অবস্থিত অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের বাড়ির আশপাশের লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসই বড় ভাই হাকিম আজিজুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন। আজিজুল ইসলাম ২০০৫ সালে মারা যান। পিতা হাকিম খুরশিদুল ইসলামের রেখে যাওয়া জায়গায় তারা ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে এ বাড়িটি ইসলামী ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে আমি শিশুকাল থেকেই চিনি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বড় ভাইয়ের সঙ্গেই থাকতেন এবং তার কাজে সহযোগিতা করতেন। ১৯৯৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। এর আগে ১৯৮৫ সালে এলএলবি পাস করে আইন ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ৬৪ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত পার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। এ নির্বাচনে তিনি বিএনপি প্রার্থী কামালউদ্দিন কাবুলের কাছে পরাজিত হন। মূলত এ সময় থেকেই তিনি আওয়ামী লীগ রাজনীতির পক্ষে সোচ্চার হন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সাম্প্রতিক কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, অতীতে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ভূমিকা যাই থাকুক, বর্তমানে তিনি এলাকাবাসীর সুখ-দুঃখের সঙ্গী। এলাকার সব উন্নয়নমূলক কাজেই তিনি কল্পনাতীত ভূমিকা রেখে চলেছেন।
তিব্বিয়া হাবিবিয়া কলেজে হাকিম আজিজুল ইসলামের এক সময়ের সহকর্মী জানান, আজিজুল ইসলাম সাহেব ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। কলেজে যোগ দেয়ার আগে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি প্রেস ব্যবসা করতেন এবং একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। হাকিম আজিজুল ইসলামের প্রেসেই কামরুল ইসলাম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের মতো রাজাকারের সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত কিনা, প্রশ্নের জবাবে হাকিম আজিজুল ইসলামের স্ত্রী ফয়জুন নেছা রানু আমার দেশকে বলেন, আমরা সবাই এদেশেরই মানুষ। সব দেশেই সব সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করে না। কেউ কেউ ভিন্নমতও পোষণ করে থাকে। ভিন্নমত পোষণ করাটা কোনো অপরাধ নয়। বরং এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। বর্তমানে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বলে যা করা হচ্ছে তা জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। বিচারের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্থার প্রধান আবদুল মতিন স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এ ধরনের অভিযোগ সরকারের অনেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে। কাজেই এখন উচিত হবে এগুলো খোঁজাখুঁজি করে জাতিকে বিভক্ত না করা। একই সঙ্গে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে। কেননা কেউ এ দেশে গ্রিনকার্ডধারী নন। ইচ্ছা করলেই কাউকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। দেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমার দেশকে তিনি বলেন, আমার ভাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেননি। তিনি রাজাকার কিংবা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী ছিলেন—এ ধরনের কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধে তার নিজের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ)-এর প্রথম ব্যাচের সদস্য হিসেবে আমি ভারতের দেরাদুন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। আমাদের ওই ব্যাচে হাসানুল হক ইনু, আফম মাহবুবুল হক ও শরীফ নুরুল আম্বিয়াসহ অনেকেই ছিলেন। কাজেই আমার ব্যাপারে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়।

সূত্র: http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/05/27/33795

জামায়েত শিবির এর ধর্ম ব্যবসা নিষিদ্ধ হোক-ওরা ধর্ম বেশ্যা ।

গত বুধবার অনেকটা হঠাৎ করেই বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের ব্যাক্তিগত ইমেল ও মোবাইল নম্বরে জামায়াত নেতাদের পরিবারের নানা তথ্য প্রকাশ করেন শিবিরের একটা অংশ। এবং একই সংগে তথ্যগুলো পাঠানো হয়েছে জামায়াত ও শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও।

সেভ শিবিরের ব্যানারে শিবিরের বিদ্রোহীদের অভিযোগ, 'কর্মীদের ইসলামের পথে চলা আর সৎ মানুষ হওয়ার কথা বললেও জামায়াত নেতাদের পরিবার চলে ইসলামের বিরুদ্ধে। কর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখালেও জামায়াতের আমীর নিজামীসহ কোন নেতাই নিজেদের পরিবারে সেই স্বপ্ন দেখেন না। প্রথমেই বলা হয়েছে, 'জামায়াত এবং শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের ইসলামের কথা বলে, ভাল মানুষ হিসাবে চলতে বলে। এতে আমরা উজ্জীবিত হই, ইসলামের পক্ষে জীবন উৎসর্গ করতে উৎসাহিত হই, কিন্তু আমাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা হলো, এই জামায়াত নেতাদের পরিবারে তাদের সনত্মানরা কেউ ইসলামের পথে নেই। কেউ শিবির করে না। প্রথম দিনে জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর পরিবারের কথা তুলে ধরে শিবিরের অংশটি বলেছে, নিজামীর পরিবার দেখেই বোঝা যাবে তাঁরা নিজেরা কতটা ইসলামের পথে হাঁটেন। বলা হয়েছে, নিজামীর স্ত্রী সামসুন্নাহার নিজামী এককভাবে ইসলামী ছাত্রী সংস্থা এবং মহিলা জামায়াতকে নিয়ন্ত্রণ করেন, যা সম্পূর্ণ ইসলাম ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ। বলা হয়েছে, এই মহিলা (নিজামীর স্ত্রী) মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন। সেখানে অনেক টাকার হিসাব দিতে পারেননি। তার পরেও স্বামীর দাপটে কিছুদিন পদে টিকে থাকলেও একসময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে নিজেই একটা স্কুল খুলেছেন। কিন্তু স্কুল করার সব টাকা নেয়া হয়েছে জামায়াতের কর্মীদের কষ্ট করে জমানো ফান্ড থেকে, যা চরম অপরাধ।

নিজামীর বড় ছেলে তারেকের কর্মকান্ড- তুলে ধরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় নাইট ক্লাব, বার থেকে শুরু করে সব আজে বাজে জায়গাই ছিল তার অবাধ বিচরণের স্থান। বাংলাদেশে এসে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করার সময়েও তার বিরম্নদ্ধে ওঠে ছাত্রীদের সঙ্গে অসামাজিক কাজ করার অভিযোগ। বলা হয়েছে, নিজামী অন্যদের বললেও এই ছেলেকে কখানোই ছাত্রশিবিরের কোন কাজেই আসতে দেখা যায়নি। বিদ্রোহীরা বলেছে, নিজামীর অন্য সব ছেলেময়েরা তাদের বড় ভাইয়ের মতো চরিত্রহীন না হলেও কেউ ইসলামী আন্দোলনে ছিলেন এমন প্রমাণ দিতে পারবেন না নিজামী। বিদ্রোহীরা জামায়াত নেতাদের বিরম্নদ্ধে আনা অভিযোগকে ১০০ ভাগ সত্য দাবি করে বলেছেন, তারা আরও বলেছে এই ঘটনাগুলো মিথ্যা বলে আমীরদের পরিবার প্রমাণ করতে পারবেন না। শিবিরের এই অংশটি ঘোষণা দিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী, আব্দুস সোবহান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, মোহাম্মদ কামারম্নজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা, এটিএম আজহারম্নল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম খানসহ সকল জামায়াত নেতাদের পরিবারের ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনবিরোধী কর্মকা- প্রকাশ করা হবে।

সূত্র: http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2010-05-27&ni=19547

৭১ এ আলীগের ২৫ জন সংসদ সদস্য স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিলেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জনপ্রতিনিধি হয়েও আওয়ামী লীগের পঁচিশ নেতা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। তারা কেউ ছিলেন এমএনএ (জাতীয় পরিষদ সদস্য) আবার কেউ ছিলেন এমপিএ (প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য)। হানাদার বাহিনীকে তারা সবধরনের সহযোগিতা দিয়েছেন। দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গেও তাদের কয়েকজন যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে সরকারি ও দলীয় সিদ্ধান্তে ’৭১ ও ’৭২ সালেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

মুজিব নগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ, বঙ্গবন্ধু সরকার আমলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত প্রকাশিত কিছু গ্রন্থ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এই পঁচিশ জনের মধ্যে কয়েকজন পরবর্তীকালে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে মন্ত্রীও হন।

এরকম পঁচিশ জনের মধ্যে সাতজন ’৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা করে মুক্তি পান এবং পাকবাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন। তারা হচ্ছেনÑ একেএম মাহবুবুল ইসলাম (পাবনা), একে ফায়জুল হক (বরিশাল), অধ্যাপক শামসুল হক (চট্টগ্রাম), অংশু প্র“ চৌধুরী (পার্বত্য চট্টগ্রাম), ডা. আজাহার উদ্দিন (ভোলা), একেএম মাহবুবুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ) ও আহমদ সাগির হোসেন। এছাড়া তৎকালীন আওয়ামী লীগ থেকে আরো যেসব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি স্বাধীনতার বিরোধিতা করেন তারা হচ্ছেনÑ আবু সোলায়মান মণ্ডল (পীরগঞ্জ, রংপুর), আজিজুর রহমান (গাইবান্ধা), নুরুল হক (রংপুর), এনসান আলী মুক্তার (টাঙ্গাইল) একেএম মোশাররফ হোসেন (ময়মনসিংহ), আফজাল হোসেন (নারায়ণগঞ্জ), ওবায়দুল্লা মজুমদার (নোয়াখালী), সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম), মো. মঈনুদ্দীন মিয়াজী (যশোর), হাবিবুর রহমান খান (খুলনা), মো. হাবিবুর রহমান (বগুড়া), জহির উদ্দিন (মোহাম্মদপুর, ঢাকা), সৈয়দ হোসেইন মনসুর (পাবনা), মো. আবদুল গাফফার (সাতক্ষীরা), মো. সাঈদ (খুলনা), মোশাররফ হোসেন শাহজাহান (ভোলা) এবিএম নুরুল ইসলাম (ফরিদপুর), সৈয়দ বদরুজ্জান ওরফে এসবি জামান (ময়মনসিংহ)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে তাদের অনেকের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিল। শামসুল হক ও ওবায়দুল্লা মজুমদার দু’জনই মুক্তিযুদ্ধকালীন এমএ মালেকের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তাদের অনেকেই এখন বেঁচে নেই।

সূত্র: আমাদের সময়> http://www.amadershomoy.com/content/2010/04/29/news0852.htm

সাধারণ হওয়াতে আমাদেরও কি পা চাটা বাধ্যতামূলক????

ছাত্ররাজনীতির কলুষিত অংশের থাবায় আজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জীবন প্রায় বিপন্ন যতটুকু বিপন্ন বাংলাদেশের নদীগুলো লোভী ও হিংস্র কিছু রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক আতেল দ্বারা । তারপরও চির ত্যাগী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানে কোন রঙ্গে কতটুকু অপচ্ছায়া তাদের শিক্ষাজীবনের উপর পড়বে (চির ত্যাগী বলার পেছনে উদ্দেশ্য একটাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবই ত্যাগ করে, শিক্ষকদের ক্লাস পাওয়া উৎসর্গ করে কারণ শিক্ষকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় ব্যস্ত থাকেন নয়ত বিশেষ উদ্দেশ্যে সাধনে ছুটিতে থাকেন, শিক্ষার্থীরা নিজেদের সম্ভ্রমও হারিয়ে ফেলেন মহান শিক্ষক দ্বারা, অনিয়মিতভাবে আবার বিভিন্ন রঙ্গের দলীয় ক্রসফায়ারে জীবনও হারান, জীবনের সব ত্যাগ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই মনে হয় করে থাকে! )

এই অপচ্ছায়ার করাল গ্রাস হয়ত তারা ভর্তি হওয়ার সময় কর্পোরেট বিজ্ঞাপনের ন্যায় অতি ক্ষুদ্র ভাবে দেওয়া শর্ত প্রযোজ্য এর মতো কোন অদৃশ্য শর্ত সহ্য করেই শিক্ষাজীবন শেষ করছে বা করবে । আমাদের পূর্ববর্তী অগ্রজরাও রঙ্গের করতলে দুই চার বছর বলি দিয়ে শিক্ষা জীবন শেষ করেছে তাই বাংলাদেশের সকল ঘিলুওয়ালা মাথারাও চায় বাংলাদেশের সকল প্রজন্মও সেই ধারা অব্যাহত রাখুক নয়ত দেশের শিক্ষার মান বাড়বে না ।


আজকাল তো অনেক শিক্ষার্থী তো বলে বেড়ায়; গ্রামে গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন বর্ষা চাইলাম তখন মেঘ আসলো আর তাই দেখে ব্যাঙেরা ভীষণ লম্পজম্প শুরু করে তাদের লম্পজম্পের আধিক্যে আর ঠেকা গেলো বরং গোখরা সাপই ভালো ছিল খোঁচা না দিলে ছোবল অত্যন্ত মারতো না !!!! ব্যাঙের কর্মে সাপকে আপন করে নিচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা!! অবাক ব্যাপার কোথায় গিয়ে দাঁড়ালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষাক্ত গোখরাকে সর্মথন করে ।


আজাইরা কথা কমিয়ে এবার কাজের কথায় আসি নইলে আবার আমাকেও চিহ্নিত রাজাকার বলে নামকরণ করবে, এখন তো চারদিকে স্বাধীনতার বাতাস বইছে বাতাসের বিপরীতে গেলেই নৌকা ডুবিয়ে মজবুত মাইরের জন্য ভেজা কাঠ দিয়েই পিটানো হবে । কয়েক মাস আগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা তারপর শিক্ষকদের সিন্ডিকেট মিটিং তদন্ত কমিটি গঠন অতঃপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা অনির্দিষ্টকালের জন্য । সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাথায় বাংলা সিনেমার আকাশ ভেঙ্গে পড়লো ক্যান তারা সাধারণ হলো অসাধারণ মাইনে রঙ্গিন শিক্ষার্থী হইলো না। বিশ্ববিদ্যালয় হলো রঙ্গিন ক্যানভাস বিভিন্ন রঙ নিয়ে সবাই লুটুপুটু খাবে বেহুদা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বেইল আছে নাকি? নাই কোন বেইল নাই । রঙ্গ নাই তো এই স্বাধীনতার পক্ষের মাসে কোন দর নাই সবই ক্র্যাপ মাল । যাই হোক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা ব্যাঙের লম্পজম্পে তাদের শিক্ষা জীবন জান্নামে গোলাম আজমের সহকর্মী হওয়ার প্রহর গুনছে তাতে আমার কি?? আমার শিক্ষাজীবন সাপের ছোবল খেতে খেতে পার করে দিয়েছি ।

শেষ কথাই সব কথা তাই শেষ কথাই বলি, খুলানা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী ছিন্নমূল শিশুদের জন্য তাদের ক্যাম্পাস আঙ্গিনায় “ছায়াবৃত্ত” নামক একটি স্বেচ্ছা সেবামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতো । বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়াতে এবং হল বন্ধ করে দেওয়াতে সেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে বিভিন্ন শহরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে ও ক্যাম্পাসে “ছায়াবৃত্ত” এর শিক্ষাকার্যক্রম ছিন্নমূল শিশুদের জন্য পরিচালনা করতে পারছে না বিভিন্ন রঙ্গিন ব্যাঙদের জন্য । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা, “ছায়াবৃত্ত” এর ছিন্নমূল শিশুদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপরকরণ ক্যাম্পাস চত্ত্বরে একটি বাক্সে রক্ষিত আছে যা তারা আনতে পারছেনা বিভিন্ন রঙ্গিন পশুদের নজরদারীতে । তাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ব্যতিত অন্য কোন স্থানে “ছায়াবৃত্ত” এর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না ।

এতে একটা বিষয় দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অংশের কলুষিত উগ্র ছাত্ররাজনীতির কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি বেশ কিছু ছিন্নমূল শিশু যারা “ছায়াবৃত্ত” এর মাধ্যমে শিক্ষা পাঠ পেতো তারও তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । কারণ, প্রজন্ম যদি শিক্ষিত হয় তাহলে রঙ্গিন রঙ্গিন রুই কাতলারা অনেক কিছুই হারাবে, ব্যাঙেরা হয়ত ভবিষ্যতে লম্পজম্প করতে পারবে না । এখন একটাই প্রশ্ন এই বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকরা, শিক্ষার্থীরা কোন রঙ্গিন গরুর পালিত পশু না হয়ে কিংবা এনজিও না খুলে কি দেশের মানুষের জন্য কোন ভালো কাজ করতে পারবে না??? দেশের উন্নয়নে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না??
নাকি সাধারন নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে গেলে বড় বড় হায়েনা ও নোংরাদের পা চাটতে হবে????

সাধারণ হওয়াতে আমাদেরও কি পা চাটা বাধ্যতামূলক????


২৩.০৫.১০
ফয়সল অভি
চট্টগ্রাম

শুক্রবার, ৭ মে, ২০১০

"বড়শি"

"বড়শি"

বহু বর্ষার বড়শি গলায় পুকুর কেটে ছিল মাছ
কাঁকড়া লেজে জেলেদের জাল কেটেছিল-মাছেদের আদিম নৃত্য,
ভেলার পানি ফুটোয় কচুরিপানার টিপ আটকে ছিল
মোনাজাতে জমিয়ে রেখেছিলাম-সেই পাতার থোকা থোকা টিপগুলো ।
সেবার মা বলেছিল; মাটির বুকে ঈশ্বর চোখ-প্রকৃতিই মিলেমিশে আমরা বাংলাদেশী ।

বালি গিলে সে_পুকুর আজ বহুতল পাখিবাস
যার পকেট উঠানে শহুরে মানুষের মানুষ ডাক
কাঁটা গলায় সেই সুর চিনচিনে ব্যাথার নির্বাসন
এই পাথর জঙ্গলের থিম সঙ ।

এবার মা বললো, মাটির রক্ত শুষে কি মাটির সম্পর্ক হয় !!!


ফয়সল অভি
০৫.০৬.২০০৯