সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০১০

অপরাধজগতের ভাষা : আড়ালের কথোপকথন–মাশরুর ইমতিয়াজ

অপরাধজগতের ভাষা : আড়ালের কথোপকথন–মাশরুর ইমতিয়াজ

চলমান সংখ্যার বিষয়-বিন্যাস

চলমান সংখ্যার বিষয়-বিন্যাস

ফালগুনী রায়-এর গদ্য—একজন অশিক্ষিত ও তিনজন হাংরী গদ্যকার

ফালগুনী রায়-এর গদ্য—একজন অশিক্ষিত ও তিনজন হাংরী গদ্যকার

নষ্ট আত্মার টেলিভিসন-ফালগুনী রায়

নষ্ট আত্মার টেলিভিসন-ফালগুনী রায়

মুক্তবুদ্ধিচর্চার দার্শনিক ক্রমবিকাশ-আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া তপন

মুক্তবুদ্ধিচর্চার দার্শনিক ক্রমবিকাশ-আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া তপন

চাই আরও আরজ আলী মাতুব্বর–কবি শামসুর রাহমান

চাই আরও আরজ আলী মাতুব্বর–কবি শামসুর রাহমান

মহাত্মা আহমদ ছফার কবিতায় সমাজচিন্তা-কালাম আজাদ

মহাত্মা আহমদ ছফার কবিতায় সমাজচিন্তা-কালাম আজাদ

আহমদ ছফাঃ বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাসকারী-আবু সাঈদ

আহমদ ছফাঃ বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাসকারী-আবু সাঈদ

আমার সময়ঃ ছফা’র পাঠ অনুভূতি-কাতিবুজ্জামান দারাশুকো

আমার সময়ঃ ছফা’র পাঠ অনুভূতি-কাতিবুজ্জামান দারাশুকো

ইতিহাসের কালো অধ্যায়(সম্পূর্ণ)–-সানাউল্লাহ

ইতিহাসের কালো অধ্যায়(সম্পূর্ণ)–-সানাউল্লাহ

[ব্ল্যাকবোর্ড]—-[দৃশ্যত আমরা দৃশ্যবন্দী]

[ব্ল্যাকবোর্ড]—-[দৃশ্যত আমরা দৃশ্যবন্দী]

রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১০

শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১০

বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১০

শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১০

শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১০

পতনের জন্য,প্রার্থনার জন্যে-সৈকত দে

পতনের জন্য,প্রার্থনার জন্যে-সৈকত দে

শহীদুল জহির-এর কবিসত্তা : অপ্রকাশিত কবিতা প্রসঙ্গ-অনুপম হাসান

শহীদুল জহির-এর কবিসত্তা : অপ্রকাশিত কবিতা প্রসঙ্গ-অনুপম হাসান

জহির রায়হান : জীবন, শিল্প ও মুক্তির যুদ্ধে- ইমতিয়ার শামীম

জহির রায়হান : জীবন, শিল্প ও মুক্তির যুদ্ধে- ইমতিয়ার শামীম

কথাশিল্পী মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়-দীপক ভৌমিক

কথাশিল্পী মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়-দীপক ভৌমিক

বিনয় মজুমদার-পুরোপুরি বিনয় অবতার কেনো-হেনরী স্বপন

বিনয় মজুমদার-পুরোপুরি বিনয় অবতার কেনো-হেনরী স্বপন

বিনয় মজুমদার-পুরোপুরি বিনয় অবতার কেনো-হেনরী স্বপন

বিনয় মজুমদার-পুরোপুরি বিনয় অবতার কেনো-হেনরী স্বপন

রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১০

বদলে যাওয়া মানুষ ও একটি গুলমোহর – রামানুজ পুরোহিত

বদলে যাওয়া মানুষ ও একটি গুলমোহর – রামানুজ পুরোহিত

কালীপদ সাহা: বিহারিদের পৈশাচিক নির্যাতনের জীবন্ত সাক্ষী-এম. রহমান

কালীপদ সাহা: বিহারিদের পৈশাচিক নির্যাতনের জীবন্ত সাক্ষী-এম. রহমান

একাত্তরে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ-একরামুল হক শামীম

একাত্তরে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ-একরামুল হক শামীম

ইতিহাসের কালো অধ্যায়–সানাউল্লাহ

ইতিহাসের কালো অধ্যায়–সানাউল্লাহ

পাখি হতে হতে মানুষ হয়ে বাঁচি-ফয়সল অভি

পাখি হতে হতে মানুষ হয়ে বাঁচি-ফয়সল অভি

পাখি হতে হতে মানুষ হয়ে বাঁচি-ফয়সল অভি

পাখি হতে হতে মানুষ হয়ে বাঁচি-ফয়সল অভি

বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০১০

“দ্রোহ” এর দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশিত

"যুগে যুগে বিনাশী যে স্রোত বয়েছে এই মানচিত্রে
আমরা জেগেছি, আমরা জেগে আছি-এখনও দ্রোহে"


এই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত "দ্রোহ" চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত লিটল ম্যাগাজিন শ্রদ্ধেয় ড. হুমায়ুর আজাদ'কে উৎসর্গ করে১১ আগষ্ট বুধবার ২০১০ খ্রি:, ২৭ শ্রাবণ ১৪১৭ সাল, ২৯শাবান ১৪৩১ হিজরি দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশ করেছে ।


দ্বিতীয় সংখ্যার লিংক>http://www.droho.net/


::দ্বিতীয় সংখ্যার বিষয় বিন্যাস::


১.ব্ল্যাকবোর্ড

• পাখি হতে হতে মানুষ হয়ে বাঁচি>ফয়সল অভি


২.স্মৃতি সারণী

• ইতিহাসের কালো অধ্যায়>সানাউল্লাহ

• একাত্তরে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ>একরামুল হক শামীম

• কালীপদ সাহা: বিহারিদের পৈশাচিক নির্যাতনের জীবন্ত সাক্ষী>এম. রহমান

• বদলে যাওয়া মানুষ ও একটি গুলমোহর >রামানুজ পুরোহিত


৩.স্মরণ:

• বিনয় মজুমদার-পুরোপুরি বিনয় অবতার কেনো>হেনরী স্বপন

• কথাশিল্পী মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়>দীপক ভৌমিক

• জহির রায়হান : জীবন,শিল্প ও মুক্তির যুদ্ধে>ইমতিয়ার শামীম

• শহীদুল জহির-এর কবিসত্তা : অপ্রকাশিত কবিতা-প্রসঙ্গ>অনুপম হাসান

• পতনের জন্য, প্রার্থনার জন্যে>সৈকত দে


৪.গদ্য:

• হাংরি জেনারেশনের কবিতা চর্চা : মানবতাপাঠ ও ব্যক্তির পুনরভ্যুত্থান>মোস্তাফিজ কারিগর

• কবি নয়-শেষাবধি কবিতাই মুখ্য>তুহিন দাস

• রাখাইন কবি ও কবিতা>কালাম আজাদ

• অন্ধকার ও সাম্প্রদায়িকতার পঙ্কে বেড়ে ওঠা জীবন>দুরন্ত স্বপ্নচারী


৫.সমকাল:

• জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও পরিবেশ নিয়ে আমাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা>মনিরুল মনির
• হিজড়া,প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালের এক দুর্ভাগা শিকার!>রণদীপম বসু


৬.রাজ-দরবার:

• লেখকের নিরাপত্তার প্রশ্ন>আবদুল হক

• জিয়া জানতেন, কতখানি জানতেন>অমি রহমান পিয়াল

• আমাদের কম্যুনিস্ট পার্টিগুলো,বিপ্লবের পথে প্রধান অন্তরায়>তৎসম বাঙালি অরণ্য

• ভুমির মালিকানা, স্বাধীন গারো রাজ্য এবং আধিপত্যবাদের কাছে গারোদের আদিম সাম্যবাদী সমাজের পতন>কুঙ্গ থাঙ

• ভারতের মাওবাদী বিদ্রোহ-গণতন্ত্রের গৌরবে গ্লানি>উত্তম কুমার দেব

• ব্রুনো 'র সমকালীন আরো যাদের ইনকুইজিশনের বিচারে হত্যা করা হয়েছিল>নরুজ্জামান মানিক

• ডিরোজিও: প্রথাবিরোধী এক অনন্য দ্রোহী>ইমন জুবায়ের


৭.বই:

• বাংলাদেশে কমিউনিজম ব্যর্থ হবার কারণ, মোকাবিলা বইয়ের সরলপাঠ ও বাংলাদেশের মূর্খ মার্কসবাদীরা>রেজাউল করিম

• আরজ আলী মাতুব্বর এর 'অনুমান'>পারভেজ আলম


৮.গল্প:

• পতঙ্গ, ফুল ও মালীর গল্প>কথক পলাশ

• শূন্যতা আর এক শালিকের গল্প>কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি

• আত্মোপলব্ধি>বাবুনি সুপ্তি


৯.কবিতা:

• পাতা থৈ থৈ কবিতা


১০.চোখের জানালা

• বাংলাদেশ ১৯৭৫,দুঃস্বপ্নের প্রতিচ্ছবি>নিঃসঙ্গ বাজপাখি


১১.অনুবাদ

• সন্ত্রাসের জলবায়ু : ভয়ের বদলে যাওয়া মুখোশ-ওলে সোয়িঙ্কা অনুবাদ: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

• ভূ-খণ্ড এর কবিতা সিরিজ


সবাইকে পড়ার আমন্ত্রন রইল ।

শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০১০

ফটোগ্রাফারদের দৃষ্টি আর্কষন করছি

ছবি নিরবে অনেক কথা বলে-অনেক কিছুই বুঝিয়ে দেয় অকপটে ও নিঃসকোচে । ঠিক সেই ছবিগুলোই দ্রোহ এর জন্য পাঠিয়ে দিন faysal.ovi@gmail.com ঠিকানায় সাথে পরিচয় ও বিস্তারিত দিয়ে । আলোকচিত্রও হোক বিপ্লবের আরেক শক্তিশালী হাতিয়ার ।
দ্রোহ এর অনলাইন ঠিকানা>> http://www.droho.net


আলোকচিত্রের অপেক্ষায় রইল ।

সোমবার, ২১ জুন, ২০১০

বোকা ঈশ্বর

বোকা ঈশ্বর

যখন একুশ শতকের আকাশে ফুটছিলো ফসফরাস ফুল, সভ্য কুকুরটি তখন নিহত হয়েছিল

যখন একুশ শতকের আকাশে ফুটছিলো ফসফরাস ফুল, সভ্য কুকুরটি তখন নিহত হয়েছিল

রোকনের মৃত্যু

রোকনের মৃত্যু

কালো কফি ও নগরীর ত্রিকোণে আগুন লাগা মুহূর্ত.....

কালো কফি ও নগরীর ত্রিকোণে আগুন লাগা মুহূর্ত.....

বাঙলাদেশের কথা বলতে বলতে ঝরে যাই

গণতান্ত্রিক সহনশীলতা

মর্ত্যলোক

পাখির নামে রাস্তাগুলো

ফিরে দেখা আত্মবয়ানের সরুপ

ফিরে দেখা আত্মবয়ানের সরুপ

শব্দভিক্ষুর শব্দকোষ

শব্দভিক্ষুর শব্দকোষ

তেলাপোকার তেরো নম্বর সংস্করণ এবং একটি কান্নাভোর

তেলাপোকার তেরো নম্বর সংস্করণ এবং একটি কান্নাভোর

শামসুর রাহমানের কবিতা নগর নয়, লোকবাংলার কাব্যভূগোল

শামসুর রাহমানের কবিতা নগর নয়, লোকবাংলার কাব্যভূগোল

প্রসঙ্গঃ সম্প্রচারের ভাষা

প্রসঙ্গঃ সম্প্রচারের ভাষা

ভোরে রচিত কথাগুচ্ছ

ভোরে রচিত কথাগুচ্ছ

একটি গরু রচনা অথবা অসংখ্য এম্বার কাহিনী

একটি গরু রচনা অথবা অসংখ্য এম্বার কাহিনী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মারজোরি কিনান রোলিং: চিন্তা-চেতনা ও অনুভবের এক অভিন্ন সমীকরণ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মারজোরি কিনান রোলিং: চিন্তা-চেতনা ও অনুভবের এক অভিন্ন সমীকরণ

অ্যালেন ল্যাঙলে কনেট : একাত্তরের এক সাহসী নারী এবং অপারেশন ওমেগা

অ্যালেন ল্যাঙলে কনেট : একাত্তরের এক সাহসী নারী এবং অপারেশন ওমেগা

স্মৃতি ১৯৭১ (ধারাবাহিক)

স্মৃতি ১৯৭১ (ধারাবাহিক) by জামিলা হাসান

যাদের রক্তে মুক্ত এদেশ (ধারাবাহিক)

যাদের রক্তে মুক্ত এদেশ (ধারাবাহিক) by অমি পিয়াল রহমান

একাত্তরের স্মৃতি(ধারাবাহিক)

একাত্তরের স্মৃতি(ধারাবাহিক) by শরীফ এ. কাফী

কাঁথা কাব্য

শনিবার, ১৯ জুন, ২০১০

রবিবার, ১৩ জুন, ২০১০

কর্পোরেট প্রয়োজনীয়তা(অকবিতা)

কর্পোরেট প্রয়োজনীয়তা

মাসের ৯ম দিবস
বসের সুন্দরী পিএস কল্যাণে মাসের বেতন হইলো
আহা ফুর্তি । সারা দুনিয়া মাইয়া গো রূপের গাঙ্গে ডুবছে
যথার্থ শ্রমের মর্যাদা নাইকা । বালের মাইয়ার গুষ্টি কিলায় ।

পকেট ভর্তি মধু, শান্তির ঢেউ খেলা আছড়ানো সময় বুকের মইধ্যে
মনে বহুত ক্ষোভ জমছে জীবের এই প্রজাতির লাইগা
দুনিয়াডা গিইল্লা খাইলো । ঝড়ডা থামাইতে হইবো ।
একটু ঈশ্বর রস হলে মন্দ হয় না
বাকী মাস তো বেগার কাটতে হইবো আর
খ্যাক খ্যাক কইরা ইয়েস বস....ইয়েস ম্যাডাম কইরা পা চাটতে হইবো ।
জুতার জীবন হইলো বাপ মায়ের বুকের ধন
সবাই পায়ে লাগাইয়া ঘুরবার চায় ।

ঈশ্বর দুনিয়াডারে বহুত রঙ্গিন করছে
এতো রঙ্গের পানি!! কি আনন্দম এই গঙ্গার পানি ।
দোলারে দোলারে ছলকে ছলকে দোলা ।
দুলতে দুলতে বাসাত গিয়া কাম কি?
শালার সেই আধা ময়লা বিছানায়
ভোটকা গন্ধে মশার যুদ্ধে শহীদ আজকে হইতাম না ।
আইজকা দোলনার জিহাদ হবে দুলতে দুলতে ।
একটু লাল পাড়ায় গেলে মন্দ হয়না ।
চক্করটা ভালই হইবো, জুতা হইয়া এখন এই প্রজাতিরে একটু জুতাইয়া আসি ।
মনে বহুত ছাই চাপা ক্ষোভ.....ওয়াক থু থু থু।


ও তোর..........আধা ঘন্টা ধইরা ঘুরতাছি ।
নিয়ন রাইতে লাল পাড়ায় তো কালা ধলা কোন কাননবালাই নাই!!!!!
পাড়া কি হজ্ব করলো নাকি!!! সব দোকান খোলা কাননবালারা গেলো কই ।
পাড়ায় কি এনজিও ঢুকে গেছে নাকি!!!
অমুক পাড়া ভেতর দিয়া হাঁটতে হাঁটতে তমুক পাড়ায় গেলাম
একটা পাখি তো নাই! নাই!....কাউয়াও নাই ।
ধুত্তোর দোল যাত্রা পাইকা মাটিতে পইরা গেলো ।
পথে ঘাটে আইজকাল দালালও দেখা যায় না
ওরা কি সব সরকারকারী অফিসে চাকুরী নিসে নাকি??
মনত বড়ই আফসুস ।

আফসুস রাগ হইয়া মাথায় উঠছে ।
কাননবালা পাইনা তয় কি হইসে বসের পিএস নম্বর তো আছে ।
শালীরে একটু ঝাটাই, অফিসে বহুত পেইন দিছে ।
টুট ট্যাট টুট.... হ্যালো কাননবালা; গুটা শহর ঘুইরা কোন লাল পাড়ায় লাল কালা বালাই তো পাইলাম না ।
পাড়া কি সব উচ্ছেদ হইয়া গেছো ।
ওপাশ থেকে কয়: তুমি আমার গুলশান ফ্ল্যাটে চলে আসো
এখন শহরে শহরে লাল ফ্ল্যাট আর কর্পোরেট সঙ্গীর যুগ
যুগ বদলাচ্ছে সব কিছুই সীমিত হয়ে হাতের মুঠোয়
তোমার ঠিকানা বলো, গাড়ি পাঠিয়ে দেই ।
এখন কর্পোরেট প্রয়োজনীয়তা..........বুঝছো !!

by
ফয়সল অভি
২৭-০৫-২০০৯

সোমবার, ৩১ মে, ২০১০

মহান ও মহৎ ছাত্রলীগের দায় নিয়ে রাবির ছেলেরা হলো কুলাঙ্গার

ছাত্রীদের রক্ষায় বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে না আসার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। দুপুরের দিকে ক্যাম্পাস মোটামুটি নীরব থাকে এবং এ সময় কোনো অঘটন ঘটলে তার কোনো দায়দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে না বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগের বেপরোয়া চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং ছাত্রী লাঞ্ছনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
জানা যায়, সম্প্রতি ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের কাছ থেকেও গণহারে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। ক্যাম্পাসে চলাচলরত ছাত্রীদের ব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া, নির্জন এলাকায় পেলে ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করার ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের জানমাল রক্ষায় এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
গত ১০ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের সবগুলো আবাসিক হলে এ নোটিশ টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, দুপুরের দিকে ক্যাম্পাসে তুলনামূলক শিক্ষার্থী কম থাকে। এ সময় আবাসিক ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। নোটিশে বলা হয়, যদি কোনো ছাত্রী এ সময় ক্যাম্পাসে বের হয় এবং দুর্ঘটনা ঘটে তবে তার দায়দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে না।
এ দিকে ছাত্রলীগের অপকর্ম নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগ না নিয়ে এভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনেদুপুরে ছাত্রীদের চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই বিস্মিত হয়েছেন। কোনো সভ্য দেশে এটি মেনে নেয়া যায় না বলে মত প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানান, রাতে ছাত্রীদের বাইরে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞার কথা শুনেছি, কিন্তু এভাবে ভরদুপুরে হলের বাইরে বের হতে না দেয়ার কথা কোনো দিন শুনিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা মেনে নেয়া যায় না।
জানা যায়, ছাত্রলীগের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে। হলের সাধারণ ছাত্রদের কাছ থেকে যখন যার কাছ থেকে খুশি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে বসে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রুমে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন সিগারেট দিয়ে সেকা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এক ছাত্রকে পুলিশে তুলে দেয় ছাত্রলীগ এবং অভিভাবককে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনতে হয়। ছাত্রীদের ব্যাগ, কান ও গলার অলঙ্কার ছিনিয়ে নেয়াসহ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্রী লাঞ্ছনার ঘটনাও উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যায়। সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ছাত্রী লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটলেও এর কোনো প্রতিকার না হওয়ায় এ প্রবণতা আরো বেড়ে যেতে থাকে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পুলিশ এবং প্রশাসনের সামনেই এসব ঘটনা ঘটলেও তারা সাধারণ ছাত্রদের রক্ষায় কোনো ভূমিকা পালন করছে না।


অতপর কি দাড়ালো, মহা ও মহৎ ছাত্রলীগের হাসিনা কতৃক লাল টিকেটের কারণে ছাত্রীরা বেলা দুটো থেকে ৪ পর্যন্ত স্বাধীন চলাচল করতে পারবে না, করলেও যদি যদি ছাত্রলীগ বা কোন পুরুষ পশু কতৃক কোন অঘটন ঘটে তবে তার দায় প্রশাসনের নয় । তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে, মহান ও মহৎ ছাত্রলীগের দায় বহন করবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্ররা কারণ তারা প্রতিবাদী হয়ে ছাত্রলীগের এই অন্যায় তাদের ক্যাম্পাস থেকে রুখতে পারছে না তাই তারা কুলাঙ্গার হইয়া রাবি'র ছাত্র হইয়া শিক্ষা লাভ করিতে লাগিল ।

আবদুল গফ্ফার চৌধুরী'র ভালো মানুষ জয়নাল হাজারী বলেছেন; "বাঘ রক্ষা নয় ধ্বংস করব"

বরে প্রকাশ, সুন্দরবনের উভয় অংশে বাঘ রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারত একটি যৌথ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। বিশ্বব্যাংক নাকি এই প্রকল্পের অর্থ জোগান দেবে। যে বাঘ মানুষ হত্যা করে মানুষের মাংস খায়, সেই মানুষরাই মানুষখেকো বাঘকে রক্ষা করবে কেন? আমি বুঝতে পারি না। বাঘের দুধ কিংবা মাংস মানুষ খায় না, বাঘের হাড় কিংবা দাঁত, রক্ত মানুষের কোনো কাজে আসে না। শুধুমাত্র দেখতে সুন্দর সে কারণে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে বাঘ রক্ষার যুক্তি আমি খুঁজে পাই না।

বাঘ সবচেয়ে সুন্দর প্রাণী হরিণ খায়, মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় প্রাণী গরু, মহিষ, ছাগলসহ সবই মেরে খেয়ে ফেলে। এই হিংস্র ঘাতক প্রাণীটিকে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত করে দেয়া উচিত। ডিসকভারি চ্যানেলে যখন দেখা যায়, একটি হিংস্র বাঘ একটি সুন্দর নিরীহ হরিণকে মেরে ফেলছে, তখন গা শিউরে উঠে। বাঁচিয়ে রেখে নয়, বরং সব বাঘ মেরে ফেলে ওদের চামড়া দিয়ে জুতা তৈরি করা হোক। ওদের চামড়া ড্রয়িং রুমে সাজিয়ে রাখা হোক।

সুন্দরের জন্য বাঘ নয়, প্রজাপতি রক্ষা করা হোক। মশা মানুষের ক্ষতি করে, সেজন্য মশাকে মেরে ফেলা হয়, তাহলে যে বাঘ মানুষ খুন করে তাকে রক্ষা করা হবে কেন?

খবরে প্রকাশ, আইলা-বিধ্বস্ত এলাকায় এক বছরে বাঘের পেটে গেছে ৭২ জন মানুষ। আর প্রতিনিয়ত খবরে প্রকাশ হয়, নৌকা থেকে হঠাৎ মানুষকে নিয়ে গিয়ে বাঘেরা খেয়ে ফেলে। মোট কথা, যে বাঘ মানুষ হত্যা করে মানুষকে খেয়ে ফেলে আমি সেই বাঘের অস্তিত্ব রাখতে চাই না।

একদিন যখন আমি বাঁধনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম, তখন এদেশের প্রথম শ্রেণীর জাতীয় দৈনিকেও আমার বিরুদ্ধে সম্পাদকীয় লিখেছিল। আজ গণরোষের ভয়ে শুধু দেশ ছেড়ে নয়, বাঁধন বিদেশেও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মতো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি জানি একদিন অনেক মানুষই বাঘ রক্ষা নয় বরং বাঘ নিধন করতে চাইবে। আমি বাঘ রক্ষার বিরুদ্ধে শুধু সাধারণ অবস্থান নয়, এর বিরুদ্ধে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে তুলব।

লেখক: সাবেক সংসদ সদস্য, ফেনী।

( আজ ২৮ মে ২০১০ দৈনিক আমাদের সময়ে প্রকাশিত)

আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল রাজাকার পরিবারের সদস্য : একাত্তরে বড় ভাইয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন

আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য এ অভিযোগ সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য তার নেতৃত্বেই ঢাকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠিত হয় একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সঙ্গে লিয়াজোঁ রক্ষা করতেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই স্বাধীনতাবিরোধী কাজে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগিতা করেন মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকানাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবেও চাকরি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন অ্যাডভোকেট কামরুল
নেজামে ইসলাম পার্টি ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইউনানী চিকিত্সক ও ঢাকা তিব্বিয়া হাবিবিয়া ইউনানী কলেজের অধ্যক্ষ হাকিম খুরশিদুল ইসলামের চার ছেলে তারা হচ্ছেন যথাক্রমে হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও মোরশেদুল ইসলাম ১৯৫৭ সালে হাকিম খুরশিদুল ইসলামের মৃত্যুর পর বড় ছেলে হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম এ কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন পর্যায়ক্রমে তিনি এ কলেজের অধ্যক্ষ হন একই সঙ্গে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন পরে তিনি তত্কালীন পাকিস্তান নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হন ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামে ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায় প্রচারণা চালানোর জন্য ‘নেজামে ইসলাম’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করা হয় হাকিম আজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিবুর রহমানসহ পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি এ পত্রিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে প্রতি সপ্তাহে একটি বিশেষ সম্পাদকীয় লেখেন
মাত্র ৭ বছর বয়সে পিতাকে হারিয়ে কামরুল ইসলাম বড় ভাই হাকিম আজিজুল ইসলাম ও ভাবী ফয়জুন নেছা রানুর স্নেহাশীষে বড় হতে থাকেন বেগম ফয়জুন নেছা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সম্পর্কে আমার দেশকে বলেন, ১৯৬১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আমি তাদের পরিবারে আসি এ সময় কামরুল ছিল ১০-১১ বছরের কিশোর আমার স্বামীই তার ভাই-বোন নিয়ে ১৩-১৪ জনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন ছোট ভাই-বোনদের পড়ালেখার খরচ জোগাতেন তিনিই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কামরুলের বয়স ছিল ২১ বছর ওই সময় আমরা সবাই এক বাসাতেই ছিলাম যুদ্ধে তার স্বামী হাকিম আজিজুল ইসলাম ও দেবর অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অতকিছু বলতে পারব না এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যায়- এমন সত্য প্রকাশ উচিত হবে না তবে এতটুকু বলতে পারি, স্বাধীনতার পরপরই বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপির নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী আমাদের বাসায় হামলা করে এবং আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায় সেই সঙ্গে হামলাকারী মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সবাইকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকিও দিয়ে যায় এর একদিন পরেই মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা আমার স্বামীর পরিধেয় বস্ত্র ও চশমা আমার কাছে পাঠায় পরে আমার দেবর কামরুল ইসলাম ও মামুন নামে একজন ম্যাজিস্ট্রেট বহু খোঁজাখুঁজির পর একটি পরিত্যক্ত গর্ত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আমার স্বামীকে উদ্ধার করেন
পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার ৪৮/১, আজগর লেনে অবস্থিত অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের বাড়ির আশপাশের লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসই বড় ভাই হাকিম আজিজুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন আজিজুল ইসলাম ২০০৫ সালে মারা যান পিতা হাকিম খুরশিদুল ইসলামের রেখে যাওয়া জায়গায় তারা ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন বর্তমানে এ বাড়িটি ইসলামী ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে আমি শিশুকাল থেকেই চিনি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বড় ভাইয়ের সঙ্গেই থাকতেন এবং তার কাজে সহযোগিতা করতেন ১৯৯৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন এর আগে ১৯৮৫ সালে এলএলবি পাস করে আইন ব্যবসা শুরু করেন ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ৬৪ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত পার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এ নির্বাচনে তিনি বিএনপি প্রার্থী কামালউদ্দিন কাবুলের কাছে পরাজিত হন মূলত এ সময় থেকেই তিনি আওয়ামী লীগ রাজনীতির পক্ষে সোচ্চার হন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সাম্প্রতিক কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, অতীতে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ভূমিকা যাই থাকুক, বর্তমানে তিনি এলাকাবাসীর সুখ-দুঃখের সঙ্গী এলাকার সব উন্নয়নমূলক কাজেই তিনি কল্পনাতীত ভূমিকা রেখে চলেছেন
তিব্বিয়া হাবিবিয়া কলেজে হাকিম আজিজুল ইসলামের এক সময়ের সহকর্মী জানান, আজিজুল ইসলাম সাহেব ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কলেজে যোগ দেয়ার আগে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন পাশাপাশি তিনি প্রেস ব্যবসা করতেন এবং একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন হাকিম আজিজুল ইসলামের প্রেসেই কামরুল ইসলাম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের মতো রাজাকারের সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত কিনা, প্রশ্নের জবাবে হাকিম আজিজুল ইসলামের স্ত্রী ফয়জুন নেছা রানু আমার দেশকে বলেন, আমরা সবাই এদেশেরই মানুষ সব দেশেই সব সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করে না কেউ কেউ ভিন্নমতও পোষণ করে থাকে ভিন্নমত পোষণ করাটা কোনো অপরাধ নয় বরং এটা গণতান্ত্রিক অধিকার বর্তমানে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বলে যা করা হচ্ছে তা জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয় বিচারের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্থার প্রধান আবদুল মতিন স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠায় তিনি পদত্যাগ করেছেন খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এ ধরনের অভিযোগ সরকারের অনেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে কাজেই এখন উচিত হবে এগুলো খোঁজাখুঁজি করে জাতিকে বিভক্ত না করা একই সঙ্গে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে কেননা কেউ এ দেশে গ্রিনকার্ডধারী নন ইচ্ছা করলেই কাউকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা যাবে না দেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে
এ বিষয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমার দেশকে তিনি বলেন, আমার ভাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেননি তিনি রাজাকার কিংবা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী ছিলেন—এ ধরনের কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না মুক্তিযুদ্ধে তার নিজের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ)-এর প্রথম ব্যাচের সদস্য হিসেবে আমি ভারতের দেরাদুন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি আমাদের ওই ব্যাচে হাসানুল হক ইনু, আফম মাহবুবুল হক ও শরীফ নুরুল আম্বিয়াসহ অনেকেই ছিলেন কাজেই আমার ব্যাপারে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়

সূত্র: http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/05/27/33795

আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল রাজাকার পরিবারের সদস্য : একাত্তরে বড় ভাইয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন

আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য। এ অভিযোগ সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য তার নেতৃত্বেই ঢাকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠিত হয়। একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সঙ্গে লিয়াজোঁ রক্ষা করতেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই স্বাধীনতাবিরোধী কাজে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকানাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবেও চাকরি করেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন অ্যাডভোকেট কামরুল।
নেজামে ইসলাম পার্টি ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইউনানী চিকিত্সক ও ঢাকা তিব্বিয়া হাবিবিয়া ইউনানী কলেজের অধ্যক্ষ হাকিম খুরশিদুল ইসলামের চার ছেলে। তারা হচ্ছেন যথাক্রমে হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও মোরশেদুল ইসলাম। ১৯৫৭ সালে হাকিম খুরশিদুল ইসলামের মৃত্যুর পর বড় ছেলে হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম এ কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পর্যায়ক্রমে তিনি এ কলেজের অধ্যক্ষ হন। একই সঙ্গে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি তত্কালীন পাকিস্তান নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হন। ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামে ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায় প্রচারণা চালানোর জন্য ‘নেজামে ইসলাম’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করা হয়। হাকিম আজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শেখ মুজিবুর রহমানসহ পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি এ পত্রিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে প্রতি সপ্তাহে একটি বিশেষ সম্পাদকীয় লেখেন।
মাত্র ৭ বছর বয়সে পিতাকে হারিয়ে কামরুল ইসলাম বড় ভাই হাকিম আজিজুল ইসলাম ও ভাবী ফয়জুন নেছা রানুর স্নেহাশীষে বড় হতে থাকেন। বেগম ফয়জুন নেছা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সম্পর্কে আমার দেশকে বলেন, ১৯৬১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আমি তাদের পরিবারে আসি। এ সময় কামরুল ছিল ১০-১১ বছরের কিশোর। আমার স্বামীই তার ভাই-বোন নিয়ে ১৩-১৪ জনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। ছোট ভাই-বোনদের পড়ালেখার খরচ জোগাতেন তিনিই। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কামরুলের বয়স ছিল ২১ বছর। ওই সময় আমরা সবাই এক বাসাতেই ছিলাম। যুদ্ধে তার স্বামী হাকিম আজিজুল ইসলাম ও দেবর অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অতকিছু বলতে পারব না এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যায়- এমন সত্য প্রকাশ উচিত হবে না। তবে এতটুকু বলতে পারি, স্বাধীনতার পরপরই বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপির নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী আমাদের বাসায় হামলা করে এবং আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে হামলাকারী মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সবাইকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকিও দিয়ে যায়। এর একদিন পরেই মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা আমার স্বামীর পরিধেয় বস্ত্র ও চশমা আমার কাছে পাঠায়। পরে আমার দেবর কামরুল ইসলাম ও মামুন নামে একজন ম্যাজিস্ট্রেট বহু খোঁজাখুঁজির পর একটি পরিত্যক্ত গর্ত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আমার স্বামীকে উদ্ধার করেন।
পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার ৪৮/১, আজগর লেনে অবস্থিত অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের বাড়ির আশপাশের লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসই বড় ভাই হাকিম আজিজুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন। আজিজুল ইসলাম ২০০৫ সালে মারা যান। পিতা হাকিম খুরশিদুল ইসলামের রেখে যাওয়া জায়গায় তারা ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে এ বাড়িটি ইসলামী ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে আমি শিশুকাল থেকেই চিনি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বড় ভাইয়ের সঙ্গেই থাকতেন এবং তার কাজে সহযোগিতা করতেন। ১৯৯৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। এর আগে ১৯৮৫ সালে এলএলবি পাস করে আইন ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ৬৪ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত পার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। এ নির্বাচনে তিনি বিএনপি প্রার্থী কামালউদ্দিন কাবুলের কাছে পরাজিত হন। মূলত এ সময় থেকেই তিনি আওয়ামী লীগ রাজনীতির পক্ষে সোচ্চার হন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সাম্প্রতিক কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, অতীতে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ভূমিকা যাই থাকুক, বর্তমানে তিনি এলাকাবাসীর সুখ-দুঃখের সঙ্গী। এলাকার সব উন্নয়নমূলক কাজেই তিনি কল্পনাতীত ভূমিকা রেখে চলেছেন।
তিব্বিয়া হাবিবিয়া কলেজে হাকিম আজিজুল ইসলামের এক সময়ের সহকর্মী জানান, আজিজুল ইসলাম সাহেব ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। কলেজে যোগ দেয়ার আগে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি প্রেস ব্যবসা করতেন এবং একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। হাকিম আজিজুল ইসলামের প্রেসেই কামরুল ইসলাম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের মতো রাজাকারের সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত কিনা, প্রশ্নের জবাবে হাকিম আজিজুল ইসলামের স্ত্রী ফয়জুন নেছা রানু আমার দেশকে বলেন, আমরা সবাই এদেশেরই মানুষ। সব দেশেই সব সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করে না। কেউ কেউ ভিন্নমতও পোষণ করে থাকে। ভিন্নমত পোষণ করাটা কোনো অপরাধ নয়। বরং এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। বর্তমানে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বলে যা করা হচ্ছে তা জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। বিচারের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্থার প্রধান আবদুল মতিন স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এ ধরনের অভিযোগ সরকারের অনেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে। কাজেই এখন উচিত হবে এগুলো খোঁজাখুঁজি করে জাতিকে বিভক্ত না করা। একই সঙ্গে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে। কেননা কেউ এ দেশে গ্রিনকার্ডধারী নন। ইচ্ছা করলেই কাউকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। দেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমার দেশকে তিনি বলেন, আমার ভাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেননি। তিনি রাজাকার কিংবা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী ছিলেন—এ ধরনের কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধে তার নিজের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ)-এর প্রথম ব্যাচের সদস্য হিসেবে আমি ভারতের দেরাদুন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। আমাদের ওই ব্যাচে হাসানুল হক ইনু, আফম মাহবুবুল হক ও শরীফ নুরুল আম্বিয়াসহ অনেকেই ছিলেন। কাজেই আমার ব্যাপারে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়।

সূত্র: http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/05/27/33795

জামায়েত শিবির এর ধর্ম ব্যবসা নিষিদ্ধ হোক-ওরা ধর্ম বেশ্যা ।

গত বুধবার অনেকটা হঠাৎ করেই বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের ব্যাক্তিগত ইমেল ও মোবাইল নম্বরে জামায়াত নেতাদের পরিবারের নানা তথ্য প্রকাশ করেন শিবিরের একটা অংশ। এবং একই সংগে তথ্যগুলো পাঠানো হয়েছে জামায়াত ও শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও।

সেভ শিবিরের ব্যানারে শিবিরের বিদ্রোহীদের অভিযোগ, 'কর্মীদের ইসলামের পথে চলা আর সৎ মানুষ হওয়ার কথা বললেও জামায়াত নেতাদের পরিবার চলে ইসলামের বিরুদ্ধে। কর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখালেও জামায়াতের আমীর নিজামীসহ কোন নেতাই নিজেদের পরিবারে সেই স্বপ্ন দেখেন না। প্রথমেই বলা হয়েছে, 'জামায়াত এবং শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের ইসলামের কথা বলে, ভাল মানুষ হিসাবে চলতে বলে। এতে আমরা উজ্জীবিত হই, ইসলামের পক্ষে জীবন উৎসর্গ করতে উৎসাহিত হই, কিন্তু আমাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা হলো, এই জামায়াত নেতাদের পরিবারে তাদের সনত্মানরা কেউ ইসলামের পথে নেই। কেউ শিবির করে না। প্রথম দিনে জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর পরিবারের কথা তুলে ধরে শিবিরের অংশটি বলেছে, নিজামীর পরিবার দেখেই বোঝা যাবে তাঁরা নিজেরা কতটা ইসলামের পথে হাঁটেন। বলা হয়েছে, নিজামীর স্ত্রী সামসুন্নাহার নিজামী এককভাবে ইসলামী ছাত্রী সংস্থা এবং মহিলা জামায়াতকে নিয়ন্ত্রণ করেন, যা সম্পূর্ণ ইসলাম ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ। বলা হয়েছে, এই মহিলা (নিজামীর স্ত্রী) মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন। সেখানে অনেক টাকার হিসাব দিতে পারেননি। তার পরেও স্বামীর দাপটে কিছুদিন পদে টিকে থাকলেও একসময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে নিজেই একটা স্কুল খুলেছেন। কিন্তু স্কুল করার সব টাকা নেয়া হয়েছে জামায়াতের কর্মীদের কষ্ট করে জমানো ফান্ড থেকে, যা চরম অপরাধ।

নিজামীর বড় ছেলে তারেকের কর্মকান্ড- তুলে ধরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় নাইট ক্লাব, বার থেকে শুরু করে সব আজে বাজে জায়গাই ছিল তার অবাধ বিচরণের স্থান। বাংলাদেশে এসে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করার সময়েও তার বিরম্নদ্ধে ওঠে ছাত্রীদের সঙ্গে অসামাজিক কাজ করার অভিযোগ। বলা হয়েছে, নিজামী অন্যদের বললেও এই ছেলেকে কখানোই ছাত্রশিবিরের কোন কাজেই আসতে দেখা যায়নি। বিদ্রোহীরা বলেছে, নিজামীর অন্য সব ছেলেময়েরা তাদের বড় ভাইয়ের মতো চরিত্রহীন না হলেও কেউ ইসলামী আন্দোলনে ছিলেন এমন প্রমাণ দিতে পারবেন না নিজামী। বিদ্রোহীরা জামায়াত নেতাদের বিরম্নদ্ধে আনা অভিযোগকে ১০০ ভাগ সত্য দাবি করে বলেছেন, তারা আরও বলেছে এই ঘটনাগুলো মিথ্যা বলে আমীরদের পরিবার প্রমাণ করতে পারবেন না। শিবিরের এই অংশটি ঘোষণা দিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী, আব্দুস সোবহান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, মোহাম্মদ কামারম্নজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা, এটিএম আজহারম্নল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম খানসহ সকল জামায়াত নেতাদের পরিবারের ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনবিরোধী কর্মকা- প্রকাশ করা হবে।

সূত্র: http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2010-05-27&ni=19547

৭১ এ আলীগের ২৫ জন সংসদ সদস্য স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিলেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জনপ্রতিনিধি হয়েও আওয়ামী লীগের পঁচিশ নেতা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। তারা কেউ ছিলেন এমএনএ (জাতীয় পরিষদ সদস্য) আবার কেউ ছিলেন এমপিএ (প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য)। হানাদার বাহিনীকে তারা সবধরনের সহযোগিতা দিয়েছেন। দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গেও তাদের কয়েকজন যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে সরকারি ও দলীয় সিদ্ধান্তে ’৭১ ও ’৭২ সালেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

মুজিব নগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ, বঙ্গবন্ধু সরকার আমলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত প্রকাশিত কিছু গ্রন্থ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এই পঁচিশ জনের মধ্যে কয়েকজন পরবর্তীকালে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে মন্ত্রীও হন।

এরকম পঁচিশ জনের মধ্যে সাতজন ’৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা করে মুক্তি পান এবং পাকবাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন। তারা হচ্ছেনÑ একেএম মাহবুবুল ইসলাম (পাবনা), একে ফায়জুল হক (বরিশাল), অধ্যাপক শামসুল হক (চট্টগ্রাম), অংশু প্র“ চৌধুরী (পার্বত্য চট্টগ্রাম), ডা. আজাহার উদ্দিন (ভোলা), একেএম মাহবুবুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ) ও আহমদ সাগির হোসেন। এছাড়া তৎকালীন আওয়ামী লীগ থেকে আরো যেসব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি স্বাধীনতার বিরোধিতা করেন তারা হচ্ছেনÑ আবু সোলায়মান মণ্ডল (পীরগঞ্জ, রংপুর), আজিজুর রহমান (গাইবান্ধা), নুরুল হক (রংপুর), এনসান আলী মুক্তার (টাঙ্গাইল) একেএম মোশাররফ হোসেন (ময়মনসিংহ), আফজাল হোসেন (নারায়ণগঞ্জ), ওবায়দুল্লা মজুমদার (নোয়াখালী), সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম), মো. মঈনুদ্দীন মিয়াজী (যশোর), হাবিবুর রহমান খান (খুলনা), মো. হাবিবুর রহমান (বগুড়া), জহির উদ্দিন (মোহাম্মদপুর, ঢাকা), সৈয়দ হোসেইন মনসুর (পাবনা), মো. আবদুল গাফফার (সাতক্ষীরা), মো. সাঈদ (খুলনা), মোশাররফ হোসেন শাহজাহান (ভোলা) এবিএম নুরুল ইসলাম (ফরিদপুর), সৈয়দ বদরুজ্জান ওরফে এসবি জামান (ময়মনসিংহ)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে তাদের অনেকের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিল। শামসুল হক ও ওবায়দুল্লা মজুমদার দু’জনই মুক্তিযুদ্ধকালীন এমএ মালেকের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তাদের অনেকেই এখন বেঁচে নেই।

সূত্র: আমাদের সময়> http://www.amadershomoy.com/content/2010/04/29/news0852.htm

সাধারণ হওয়াতে আমাদেরও কি পা চাটা বাধ্যতামূলক????

ছাত্ররাজনীতির কলুষিত অংশের থাবায় আজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জীবন প্রায় বিপন্ন যতটুকু বিপন্ন বাংলাদেশের নদীগুলো লোভী ও হিংস্র কিছু রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক আতেল দ্বারা । তারপরও চির ত্যাগী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানে কোন রঙ্গে কতটুকু অপচ্ছায়া তাদের শিক্ষাজীবনের উপর পড়বে (চির ত্যাগী বলার পেছনে উদ্দেশ্য একটাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবই ত্যাগ করে, শিক্ষকদের ক্লাস পাওয়া উৎসর্গ করে কারণ শিক্ষকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় ব্যস্ত থাকেন নয়ত বিশেষ উদ্দেশ্যে সাধনে ছুটিতে থাকেন, শিক্ষার্থীরা নিজেদের সম্ভ্রমও হারিয়ে ফেলেন মহান শিক্ষক দ্বারা, অনিয়মিতভাবে আবার বিভিন্ন রঙ্গের দলীয় ক্রসফায়ারে জীবনও হারান, জীবনের সব ত্যাগ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই মনে হয় করে থাকে! )

এই অপচ্ছায়ার করাল গ্রাস হয়ত তারা ভর্তি হওয়ার সময় কর্পোরেট বিজ্ঞাপনের ন্যায় অতি ক্ষুদ্র ভাবে দেওয়া শর্ত প্রযোজ্য এর মতো কোন অদৃশ্য শর্ত সহ্য করেই শিক্ষাজীবন শেষ করছে বা করবে । আমাদের পূর্ববর্তী অগ্রজরাও রঙ্গের করতলে দুই চার বছর বলি দিয়ে শিক্ষা জীবন শেষ করেছে তাই বাংলাদেশের সকল ঘিলুওয়ালা মাথারাও চায় বাংলাদেশের সকল প্রজন্মও সেই ধারা অব্যাহত রাখুক নয়ত দেশের শিক্ষার মান বাড়বে না ।


আজকাল তো অনেক শিক্ষার্থী তো বলে বেড়ায়; গ্রামে গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন বর্ষা চাইলাম তখন মেঘ আসলো আর তাই দেখে ব্যাঙেরা ভীষণ লম্পজম্প শুরু করে তাদের লম্পজম্পের আধিক্যে আর ঠেকা গেলো বরং গোখরা সাপই ভালো ছিল খোঁচা না দিলে ছোবল অত্যন্ত মারতো না !!!! ব্যাঙের কর্মে সাপকে আপন করে নিচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা!! অবাক ব্যাপার কোথায় গিয়ে দাঁড়ালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষাক্ত গোখরাকে সর্মথন করে ।


আজাইরা কথা কমিয়ে এবার কাজের কথায় আসি নইলে আবার আমাকেও চিহ্নিত রাজাকার বলে নামকরণ করবে, এখন তো চারদিকে স্বাধীনতার বাতাস বইছে বাতাসের বিপরীতে গেলেই নৌকা ডুবিয়ে মজবুত মাইরের জন্য ভেজা কাঠ দিয়েই পিটানো হবে । কয়েক মাস আগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা তারপর শিক্ষকদের সিন্ডিকেট মিটিং তদন্ত কমিটি গঠন অতঃপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা অনির্দিষ্টকালের জন্য । সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাথায় বাংলা সিনেমার আকাশ ভেঙ্গে পড়লো ক্যান তারা সাধারণ হলো অসাধারণ মাইনে রঙ্গিন শিক্ষার্থী হইলো না। বিশ্ববিদ্যালয় হলো রঙ্গিন ক্যানভাস বিভিন্ন রঙ নিয়ে সবাই লুটুপুটু খাবে বেহুদা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বেইল আছে নাকি? নাই কোন বেইল নাই । রঙ্গ নাই তো এই স্বাধীনতার পক্ষের মাসে কোন দর নাই সবই ক্র্যাপ মাল । যাই হোক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা ব্যাঙের লম্পজম্পে তাদের শিক্ষা জীবন জান্নামে গোলাম আজমের সহকর্মী হওয়ার প্রহর গুনছে তাতে আমার কি?? আমার শিক্ষাজীবন সাপের ছোবল খেতে খেতে পার করে দিয়েছি ।

শেষ কথাই সব কথা তাই শেষ কথাই বলি, খুলানা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী ছিন্নমূল শিশুদের জন্য তাদের ক্যাম্পাস আঙ্গিনায় “ছায়াবৃত্ত” নামক একটি স্বেচ্ছা সেবামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতো । বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়াতে এবং হল বন্ধ করে দেওয়াতে সেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে বিভিন্ন শহরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে ও ক্যাম্পাসে “ছায়াবৃত্ত” এর শিক্ষাকার্যক্রম ছিন্নমূল শিশুদের জন্য পরিচালনা করতে পারছে না বিভিন্ন রঙ্গিন ব্যাঙদের জন্য । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা, “ছায়াবৃত্ত” এর ছিন্নমূল শিশুদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপরকরণ ক্যাম্পাস চত্ত্বরে একটি বাক্সে রক্ষিত আছে যা তারা আনতে পারছেনা বিভিন্ন রঙ্গিন পশুদের নজরদারীতে । তাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ব্যতিত অন্য কোন স্থানে “ছায়াবৃত্ত” এর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না ।

এতে একটা বিষয় দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অংশের কলুষিত উগ্র ছাত্ররাজনীতির কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি বেশ কিছু ছিন্নমূল শিশু যারা “ছায়াবৃত্ত” এর মাধ্যমে শিক্ষা পাঠ পেতো তারও তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । কারণ, প্রজন্ম যদি শিক্ষিত হয় তাহলে রঙ্গিন রঙ্গিন রুই কাতলারা অনেক কিছুই হারাবে, ব্যাঙেরা হয়ত ভবিষ্যতে লম্পজম্প করতে পারবে না । এখন একটাই প্রশ্ন এই বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকরা, শিক্ষার্থীরা কোন রঙ্গিন গরুর পালিত পশু না হয়ে কিংবা এনজিও না খুলে কি দেশের মানুষের জন্য কোন ভালো কাজ করতে পারবে না??? দেশের উন্নয়নে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না??
নাকি সাধারন নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে গেলে বড় বড় হায়েনা ও নোংরাদের পা চাটতে হবে????

সাধারণ হওয়াতে আমাদেরও কি পা চাটা বাধ্যতামূলক????


২৩.০৫.১০
ফয়সল অভি
চট্টগ্রাম

শুক্রবার, ৭ মে, ২০১০

"বড়শি"

"বড়শি"

বহু বর্ষার বড়শি গলায় পুকুর কেটে ছিল মাছ
কাঁকড়া লেজে জেলেদের জাল কেটেছিল-মাছেদের আদিম নৃত্য,
ভেলার পানি ফুটোয় কচুরিপানার টিপ আটকে ছিল
মোনাজাতে জমিয়ে রেখেছিলাম-সেই পাতার থোকা থোকা টিপগুলো ।
সেবার মা বলেছিল; মাটির বুকে ঈশ্বর চোখ-প্রকৃতিই মিলেমিশে আমরা বাংলাদেশী ।

বালি গিলে সে_পুকুর আজ বহুতল পাখিবাস
যার পকেট উঠানে শহুরে মানুষের মানুষ ডাক
কাঁটা গলায় সেই সুর চিনচিনে ব্যাথার নির্বাসন
এই পাথর জঙ্গলের থিম সঙ ।

এবার মা বললো, মাটির রক্ত শুষে কি মাটির সম্পর্ক হয় !!!


ফয়সল অভি
০৫.০৬.২০০৯

বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১০

কাঁথা কাব্য

কাঁথা কাব্য

একটা কাঁথায় জড়িয়ে থাকে দুটো শাড়ি
সুই-সুতা আঙ্গুলের গীতে আমার মায়ের ঘুম পাড়ানি গান ।
প্রতিরাতে সেই কাঁথায় আমার গায়ে ঘুম ভাঙ্গে
ঘুম এর ট্রেনে প্রতিটি জানালায়
একজন নারীর সংগ্রাম কাব্য ফুটে উঠে
অবিরাম পর্বহীনতায় ।
প্রতিটি পর্ব আমি দেখিছি বিদগ্ধ শ্বাসে
হৃদয় বা’পাশকে ভুলিয়ে রেখেছিলাম
সামাজিক সাহসের লৌকিকতায় ।

তবে “মা”…..কথা রেখেছি – আমি কাঁদিনি ।।

by
ফয়সল অভি
16.01.10

কাঁথা কাব্য "দ্রোহ" এর প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত

মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১০

"দ্রোহ" এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত

“যুগে যুগে বিনাশী যে স্রোত বয়েছে এই মানচিত্রে
আমরা জেগেছি; আমরা জেগে আছি-এখনও দ্রোহে”

এই বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে “দ্রোহ” একটি অনলাইন সাহিত্য ম্যাগাজিন এর প্রথম সংখ্যা পহেলা বৈশাখ ১৪১৭ বঙ্গাব্দ প্রকাশিত হয়েছে । সবাইকে পড়ার আমন্ত্রন রইল ।

“দ্রোহ” এর প্রথম সংখ্যার লিংক> http://www.chittagongnews.org/droho/

শনিবার, ৬ মার্চ, ২০১০

আমি নিরপেক্ষ নই

আমি নিরপেক্ষ নই

ফয়সল অভি


আমার বাবা
সহ্যের পথ ধরে পাথর
পাড়ি দিয়েছে চুপের সকল পরীক্ষা
জানেনি পুত্রের লাশের ভার কতো ।

কিন্তু
দেবতা ঘরে যে বিপ্লবী ধূমকেতু
চার পায়ে বাড়ি ফিরে
উঠনে জন্মায় আরেক উন্মত্ত পদ্মা;
আমি দেখেছি
আমাদের শুনিয়েছে স্বয়ং ঈশ্বর ধারাভাষ্য ।

সবুজের পাতায় সবুজ স্বাভাবিক না হতেই
হঠাৎ ধ্বংস হলো গাছের কাঙ্ক্ষিত কুঠুরি!
ঝরতে ঝরতে মাটিও তল হারিয়েছে
মাটির লজ্জায় - জলও ঋণ নিলো
এতো প্রবাহে ঈশ্বরও ধুয়ে দৃশ্যমান হতো ।

শুধু
প্রহরের যে গুণে পরিত্যক্ত অধিকার
জাগেনি - পুনরুত্থান আর হয়নি
রক্তে রক্তের স্নানই হলো
পবিত্র হয়নি গ্লানির বয়ে বেড়ানো আস্ফালন;
আলো নির্বাসিত - ঠিকানা রুদ্ধ এখন জঙ্গল ।


তবুও
সমুদ্র কাঁধে নিয়ে ঠায় দাড়িয়ে
জাহাজের যে খবর আমি পাইনি
ব্যাপারীর ঘাট তবে বেদখল হোক
নিজ দরজায় বাঁধা সেই পাথর ভেঙ্গে ।

আমার বাবাও
ভার বহনে হাঁটতে হাঁটতে লাশ হয়ে যাক
শিশুপাঠে শেখায়নি কেন - যুদ্ধক্ষেত্রে কেউ আমজনতা নয় ।।


এখানে কাশি দেওয়া নিষেধ

"এখানে কাশি দেওয়া নিষেধ"

ফয়সল অভি


আজকাল কাশি দিলেই লোকজন ক্যামনে যেন তাকায়!!
আরে; আমি কি জনগণের চাকর নাকি রাণীদের পতি
কাশি রোগ তো নাই-বাপও তো কামলা দেওয়া পাবলিক
গুলশানের হাওয়ায় পেটের অসুখও নাই-বুকের ভেতর গোত্তা মারা কামনাও নাই-হাড্ডিও পাকে নাই
আমার যাত্রা পথ রিকশা থেকে দৌড়ে বাসে-বছরে এক ঈদে শপিং
প্রেমের জন্য দুটো টিউশনি সাথে দরদী ব্যাংক আম্মাজান
যিনি রেডিওর নিয়মিত আরজে সকাল বিকাল হার্ড রক শোনায়;
পরিবার আমায় নিয়ে ভাবে

এভ্রোসিয়ায় যাইতে পারি না-মাগার অবশ্যই দাওয়াতে কবুল রেডিসনের ঘ্রাণ নিয়াই
আমার ভাই ব্রাদারের বিশাল বাহিনী-ফাতেয়া তো নিয়মিতই চলছে
সেই স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুপড়ি পর্যন্ত;
পানি খেয়েই এই মাথায় চুল গজায়-ভাতের বদলে রুটি দৌড়ায় না-গো ধইরা বইসা থাকে
মোবাইলে sms দেই আর BMW হর্ণ দিলেই গুটি উদ্ধারে দমকল হইয়া যাই
গ্রামের উত্তরাধিকার স্রোতে আমার ও আমাদের শেষ ঠিকানা-পারিবারিক কবর স্থান
মামু কই যামু! মরলে তো চারটা কাঁধ লাগবো-ট্যাকা দিয়াই কি শুধু কাফন-দাফন-জানাজা?
মায়ে বাপে আটারোগুটি যদি নাই কান্দে-তইলে আর মইরা কাম কি??? ভাই ব্রাদার মেজবান খাইবো কতো আশা
আমরা পাশাপাশি থাকি-কাছাকাছি সময়েই আমাদের অন্তরবাস- একই ফ্ল্যাটে দুটো কোরিয়া নয়
তয় শালার কোরিয়ার পারমাণবিক বোমাও নাকি আছে-আমরা হালায় চুরির লাইগা খাম্বা লাগাই

তবে কি বিশাল!! এক সুখের অসুখ আছে আমার ও আমাদের
মা আগলে রাখেন আর বাবা হুদাহুদিই শাসনে আড়াল করে ভালবাসেন
কবিতার কথায় মা খামাকা হাসে, বলে:- ঘরের গরু গণ হাল হইয়া গেছে- ভাত বন্ধের হুমকি!
প্রতিরাতে বিশাল ভাষণে ভাত খাই- মানবিক এক সম্পর্কে-জীবন এখানেই জীবন হয়ে ওঠে
কর্পোরেট জানালায় এটা ক্ষে...ত ও আনস্যোশাল ডকুমেন্টারী-আস্তো ভেত্তো বাঙ্গাল
এ পাড়ায় পরিবার মানে মানুষ ও মানবিক বিন্যাস-ঈশ্বরের পাড়ায় এটার সংজ্ঞায় শরীর ও বিনিময়ের অর্থ সম্পর্ক
সকল পূর্ণতা-বিকট এক অপূর্ণতায়-মানুষ হতে হতে এভাবে শরীর হয়েই বেঁচে থাকে-শ্রেণীগত প্রাণী

পত্রিকার স্বাস্থ্য পাতায়: -
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক বলেছেন:- কাশি নৈতিকতা বিরোধী-তার ফলাফল রোগীর জীবন ধারনেই দৃশ্যমান রোগীর প্রশ্ন:- সুখের সকল উপাদানে-একটা সুখের বড়ি-কত দামে কেনা যায় ।।

পারিবারিক বাস্তুসংস্থান

পারিবারিক বাস্তুসংস্থান

ফয়সল অভি


মাটি কামড়ে এই যে সহস্র বছর – কত ক্ষুধা চাষ পায়নি – ষড়ঋতুর ভাঙ্গন জ্যামিতিক নিয়ম
পায়নি আকাশ মুখি স্বাভাবিক গড়ন – জমিনও বেহাল তাই সম্পর্ক বীজধান হয়নি
সুখের কাদায় আঙ্গুলের মায়া হয়নি – রোপিত গহীন সবুজ আজও সেই......অবুঝ
আইল জুড়ে সারি সারি সিন্দুক স্বপ্ন – হালও যে নাগাল পায়নি সম্পূর্ণ অনিচ্ছায়
বছরে বছরে ভিন্ন শস্য আগমন – আজান আর আজান! – যেন ওয়াক্তেই তোমার জনমত

চাষীর জন্য না ফসল শীষ লাইনে তুমি আহত মেজর – অপ্রকাশিত আজও সামরিক শ্বেত পত্র
যদিও ট্রুপে ছিল না সমকালীন প্রশিক্ষণ – তাই যুদ্ধাহত তুমি নিয়োজিত সেবায়–পারিবারিক রণাঙ্গন
ত্যাগী সূর্যে হলো না–কম ছায়া পারাপার! – এখন ত্যাগের কি তৃষ্ণায়......ত্যাগ প্রয়োজন

অবসর শিরায় শিরায় রক্ত বাঁধ – আজ তুমি দ্বীপ
যথাযোগ্য শহর ছেড়ে আর কত – মাটি কামড়ে এই মাটি হয়ে থাকা?

প্রতিবাদ ডুবায়

প্রতিবাদ ডুবায়

ফয়সল অভি


খোলসটা ছাড়ে নতুন খোলস - অপগত শ্বেতপাত্রে সহস্র কোলাকুলি
জনকথার কথাটা মৃত যেন দলগত কর্পোরেট অনুদান
কামড়ে মানচিত্র পাঁজর :- আগামী পাঁচ বছর দেশ আমার” ।
ডগডগে ঋতুয় দূরও দূরে সব মৌলিকই দেয়াল
নাগরিক আবহাওয়ায় বিরোধীর রুটিন অভিসম্পাত
পথের রাজে পুঁথি পাঠ আসর - সভ্যরা দর্শক ।

ঐ যে কাকের তীর্থ রুগ্ন কৃষকের ভাঁজ কাঁটা শরীর - স্ব-শ্রম সমকাল কারাদণ্ড
জল গায়-ডুব দেয়-বালি মাখে খলখলে পোড়া বুক
অঞ্চল আকাশে ধৈর্য চাক্ষুষ ক্ষোভ - চুপচাপ দরজায় শেষটা খোঁজ হারায় ।

সিংহাসনে দেব সাপ - কুশলে উন্নয়ন দুধ জমায়
গোটা গোটা হরফে দৃশ্যতঃ গোছানো সরকার উঠন
যেখানে দুধেল ধারাভাষ্যে দুধসর সুশীল দ্বীপ
মুখরিত তালি লাল নীল রকমারি রঙ্গজীবি
প্রাপ্ত রঙ্গিন পদক - শরীর ও মদ রেসিপির রাত
অন্দর ঘরে রাষ্ট্রীয় বাক্স - পাঁচওয়াক্ত ঐতিহাসিক তিলাওয়াত ।

শুধু আমরাই দেশীয় ঈশ্বর - ময়ূর পাখায় জাতীয় গাইড
তবুও থালাধরা জং প্রহর শেষে - সাফল্যটা গ্যালাসে গ্যালাসে সংবিধান পানি খায়
সেখানে সহটা বাঁচে বাসে - আজও অসভ্যরা বউ গায়ে প্রতিবাদ ডুবায় ।


সমকাল বলছি

সমকাল বলছি

ফয়সল অভি


আমাকে কাঁদিয়ে কাঁদে কান্না - কান্নারাও অথৈ জলজ ঝরায় জল
সেই জল শুষে হয় সমুদ্র ছাড়ায় অতলান্তিক প্রান্তর
এই জলেও জল তৃষ্ণা – উষ্ণতায় মাতম ঐ ময়ূরাক্ষীর চর
বোবা স্বর আড়াল খুঁজে আড়াল সমীকরণ - যা চিরকালই শূন্য ।
তবুও মরীচিকার মধ্য রাত, লুকাই আশ্রয় পাহাড়ী গহীন আলিঙ্গন
নিঃসঙ্গ বুক সভ্যতায় - আমি ছিলাম প্রত্ন তান্ত্রিক
ঠোঁটের গিরি খাত, চাহিদায় ঘেমে ঘেমে তোমার নিঃশ্বাস - যদিও
আমি আকাশ চেয়েছি, মেঘ চেয়েছি কখনও অঘোর বর্ষা চাইনি - বিশ্বাস করো!
সতীত্বের বাইবেল ছুঁয়ে বলছি যদিও এই বাইবেল স্বর্গ ন্যায় সাম্প্রদায়িক
প্রমাণ রাখে এই শরীর - প্রকল্প পরিচালক ও ঈশ্বর ভীষণ সাধু
দায় জাল এখনও গর্ভে গজায় চারা - প্রতিবারেই আমি আটকা
পৃথিবীর সৌন্দর্য ভারে এটাই আমার প্রদত্ত দাসত্ব ।
আমি জানি-আমার সমুদ্র নোনা ঘনত্বে জোয়ার আসে বিরক্তি
ভালবাসা গল্পে তেল রঙ, জল রঙ ও মাটি রঙ বড়ই প্রয়োজন
তাই দিয়ে থৈ থৈ আবেগময় প্রেম-ক্যানভাস
পরিণতির সংসার-লবণের বিষাদ ভাল লাগে
দাবানল দুঃখ জমিনে নষ্ট উর্বরতা - সংসার হয় অনিকেত চর ।
এই জন্মে ঈশ্বরও যে পক্ষ নিয়েছিল গতকাল, তারও আগে হয়ত আগামীকালও পক্ষ নিবে
নারী সৃষ্টি আদম সঙ্গ শুধুই পাশাপাশি-একসাথে- লীলার সঙ্গী একটা শৈল্পিক ছড়ি
সূত্রহীন ঈশ্বর তাই নারীর সংজ্ঞায় সমগ্র্য মাংসের গন্ধ
আর বিছানায় আমার গায়ে উদ্গিরণ সভ্যতার বিকাশিত চিহ্ন
আজ-কাল-প্রতিদিন ।
আমি দলছুট অসভ্য পিঁপড়ে বলি : -
“তিন আঙ্গুলে ঈশ্বরও পুরুষ হয়”
ধর্ম বইয়ের এই পাতা ছিঁড়ে পরিচিত আমাদের ওহী
তাই নারী শুধুই মাংসের গন্
সাহিত্যে-ধর্মে-বিজ্ঞাপনে- নিয়ন পল্লীতে-কথিত উত্তম পুরুষে -এই শহরে-মানচিত্রের প্রতিটি গুহায়
বিকিয়ে নিজ সত্তা নারী নিজেও কুকুর হয় নারীতে ।

দুঃস্বপ্ন জ্বর কিংবা কোন কবিতা নয়

দুঃস্বপ্ন জ্বর কিংবা কোন কবিতা নয়

ফয়সল অভি


চিহ্নিত হায়েনার সংক্রামিত দুঃস্বপ্নে পুড়ছে -সবুজ শুয়ে থাকা আমাদের প্রজন্ম
পূবপুরুষে কিছু স্বার্থ ভুল আর কাঁধে কাঁধ নির্লজ্জ বসবাস - ভয় হয়ে দাঁড়িয়ে দশক ভেঙ্গে দশক
সেই বিষ চারা আশ্রয় সিঁড়ি প্রশ্রয় - শেখর ছড়িয়েছে ভয়াবহ ক্যান্সার যা সাদা পর্দার দখল
দৃশ্যতঃ কোথাও সত্য নেই - ধর্ম পা লাগিয়ে পাড়ি চর-অনিকেত-অগ্নিপথ-আমাদের কাঙ্ক্ষিত পাঁজর ।
ক্রমাগত বাড়ছে জ্বর আগুন বয়ে বয়ে আগুন শরীর - বসত গেড়েছে একরোখা বিবেকের পরাজয়
রক্ত স্রোতে মিছিল, দাবি আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিচার - তবুও জন্ম সূত্রে দুঃস্বপ্ন সারা শরীর গিলছে এই দাবানল
মানচিত্রের লাল কুপিয়ে কুপিয়ে কাদায় আসন – কোথায় উৎস এই সাহস?-তবে কি পরিচিত অচেনা শত্রুয় প্রত্যাশাবাস?
আমি দলছুট অসভ্য পিঁপড়ে বলি : -
ওরা ধর্মবাদী-পেশায় ধর্ম বেঁচে খায়-ধর্ম বেশ্যা - এর নাম সাদা-পল্লী
যার পথে পথে রাজাদের পৃথক ছাপ স্বাভাবিক চলাচল - আমি আঙ্গুল রেখে জানিয়ে দেয় আড়ালের পরিচয়
আজো জননী রাত জেগে ভোর জাতীয় সংগীতে আরেকবার নিঃশ্বাস - যদিও স্থির-নির্থর-মানবিক অপ্রকাশিত কণ্ঠস্বর প্রজন্ম
এখনি চোখ মেলে প্রকাশিত সত্য কণ্ঠে জ্বর-ঘুম – ঘাম দিয়ে মুছে যাবে প্রজন্ম দুঃস্বপ্নের দৈব জ্বর ।


বি:দ্র: সকল রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের জানাজা ও কবর নিষিদ্ধ হোক কারণ ফতোয়ায় এক সময় এদেশে বেশ্যাদের কবর ও জানাজা নিষিদ্ধ ছিল-বেজন্মাগুলো বেশ্যার চেয়ে কম নয় ওরা ধর্ম বেশ্যা । 

এগারোটা চল্লিশ

এগারোটা চল্লিশ

ফয়সল অভি


বাধানো নীল মলাটে আরও কিছু সাদা জমিন

এখনও রক্তছোপে কালো মেঘ সাজানো হয়নি

রাজাদের শিকল ধুয়ে, মাটির তৃষ্ণায় জল খুঁড়ে

মানচিত্রের ধূলো উড়াই, সবুজ পবিত্রস্নানে লাল

ছিল যত অঙ্গীকার অতল থেকে অতল হয়ে

আমি রাজপথে চিহ্ন এঁকেছি বিপরীত হয়ে কাছে

ফাঁসির দড়ি হাতে, ঋণের প্রতিবিম্বে অবিরাম পিছু

স্বাধীনতার জারজ ও ধর্ম ক্রীতদাস

বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে সরু গলিতে, ফতোয়ায় নিষিদ্ধ সহস্র মতবাদ

আজন্ম কথামালা, দেয়াল আড়ালে থেকে আবার মানুষ পথে

এত দিন ছিল মিছিল মিছিলে, শ্লোগান আর কণ্ঠে, ছুটেছি প্রান্তর ভেঙ্গে অনিকেত

প্রতিবাদ, আয়না ঘরে দৃশ্য, দেয়াল লিখা, কাব্য ভীড়ে আরেকবার বিদ্রোহ

সমকাল হতে সঙ্কর যুগ যেন পরতে পরতে, মানবতার পতাকা আশঙ্কার গায়ে


সময় পায়নি, ভালবাসা রাস্তায় নগ্ন পায়ে নিঃশ্বাস

কাঙ্ক্ষিত আলিঙ্গন, সূর্য ছেয়ে স্নিগ্ধ নৃত্যে জানায়নি জমানো অনুভূতি

প্রাণের তাজা স্রোতে ক্লান্তির আজ চোখ, আশাবাদী শঙ্খচিল এখন আশ্রয় খুঁজে খোঁজ

এগারোটা চল্লিশ ছুঁয়ে, তোমার অপেক্ষার দরজায় বেসুরো আমার হারমোনিকা

আজও কি দূরত্ব শেষে ভালবাসায়, হবে পরীক্ষা পুনরায় ?

ঋতুর প্রণয়ে পর্বত স্মৃতি

ঋতুর প্রণয়ে পর্বত স্মৃতি

ফয়সল অভি



রঙ সঙ্গমে তুলির তরঙ্গ এস এম সুলতানের অতীত ফ্রেম
সেখানে নকশির থাকে থাকে বুনা দোআঁশ আকাশে বাবুই বাসা
তার নীচে গাছটা একহাতে দাঁড়ায় এক কিশোর ছায়া
খোলা খয়েরী দূর তাকায় জানালা/টুপ করে ঢুকে সাঁকো পালিয়েই জামদানী
গুটি গুটি মার্বেল আঁকা বসন্ত কাঁধে কৈশোর কবিরাজী স্বাদ
সবুজ ছাতার ভাগাভাগী বর্ষায় দেয়াল বৃক্ষে শৈল্পিক যত আলাপ
কাদায় কাদায় আঁকা আমাদের প্রজাপতি ছিল কাঁঠালচাপার ঘুড়িও দর্শক
মাছরাঙ্গা সাঁতরায় টইটই পুকুর বসে খেয়ালী বৈশাখ ঝুম ঝুম আখড়া
ধান কোমরে ফড়িং এর লেজ সেই সুতা বাঁধা স্বপ্নের আসমানী বেশ
বর্গার বানে দিনের সাক্ষী লুঠ চাষও দৌড়ায় হৈ হৈ নালিশের কান
প্রহর ফোটায় ঝোপ ঝোপ জোনাকির আমাদের মুঠোয় মুঠোয় সার্কাস
সূর্যাস্ত চোখে মা বিপরীত পাতায় দুরন্ত ছিল স্লোগানে উর্বর কণ্ঠ জমিন
সিঁড়ির পাঠ বিলিকাটা স্বপ্নলোকে ভাটা বয় চোখ থৈ থৈ জ্যোৎস্না
শিউলি বিসর্জন ভোর উঠন বুক/সুর সুরে ইট ভাঙ্গা আজানের বড় দায়
আলিঙ্গন বাসা বাঁধে অতল আলিঙ্গন আজ ঋতুর প্রণয়ে জমে জমে পর্বত স্মৃতি
বাড়নের মড়ক এখন প্লাস্টিক সময় তবুও জানালায় দলছুট পিঁপড়ের চিরচেনা শৈশব

ঘুম

ঘুম

ফয়সল অভি


গহীন মনের শালিক বন্দী বাসায় ঠোক্কর দিয়েছে গতকাল
ঠোক্করে ঝরছে নোনাধরা ঢেউ আমার কড়াহীন দরজায়
দরজার সেই কড়া তোমার জঠরে ভালবেসে কত আগেই: -
তোমার হাতের বালা হয়েই ছিল
সময় ঘাড়ে সময় চেপে কিছু ঘ্রাণ>কিছু ছোঁয়া>সামগ্র্য রঙ্গিন ।
তুমিই তো আগলে সর্বপ্রহর তবুও কেন আজ অজানার ভান ?
সেই অজানায় বয় নোনা ঢেউ এ বিরহ চাষ দিচ্ছে মনের ফসলী জমিন
এখন পথ ভিজে পথের বর্ষা>মেঘ জ্বরে মেঘেরও আজ ভীষণ অসুখ
আমার হৃদয় কাঠের আসমান>হারায়ে কর্ম বৈরাগ্য অচেনা শূন্যতা
আমি দলছুট অসভ্য পিঁপড়ে বলি: -
পালিয়ে বাঁচি তাই দুঃখ ঘুণ-আশ্রয় তবে এখন
ঘুমে ঘোর-অঘোরে ঘুম-চোখ ঘুম-কথা ঘুম
শ্বাস ঘুম দীর্ঘ-কালো সমুদ্রে সাদা ঘুম
ঘুম ঘুম আরো ঘুম 
 

একটা মুখোশ খুঁজছি

একটা মুখোশ খুঁজছি
ফয়সল অভি


উড়াল দিয়েছে শীত নিদ্রায় এক কুয়ারবেঙ - জমিন ফাটলে কেটেছিল যার সতেরটি গ্রীষ্ম
ফাল্গুনী ভেজা মন সেই অতীত পৃষ্টায় - যেখানে স্বরলিপি কোলে শরৎ বাস করেছিল
খোলা বুকে ধান শীষ মাথা উঁচু দাঁড়ায় - দূরে ঢেউ কামড়ে ঢেউ সেই পুকুর ছিল দুরন্ত
জনপদ যেসুরে কুয়াশা গেয়েছিল - সবুজ ছন্দ ডুব দিয়ে বৈরাগ্য ডুবায়
পারাপারে কর্ম শরীর দৌড়ায় জনপদ - সবি হারাচ্ছে ক্রমশঃ হারিয়ে পেছনও পালায়
মেঘেরা ঝরবে বলে শহর ও প্রহর মুখোমুখি - নেমে দাঁড়িয়ে একা একদম একা

আজ সম্মুখ স্বপ্ন অদেখা প্রান্তর - অগোছালো দৃষ্টিই নির্বাক এখন আমি দর্শক
মাথাঢাকা সংলাপে ব্যস্ত সবার অভিনয় - জলপাই প্রাচীরে কোমায় কর্পোরেট মনুষ্যত্ব
কনভেশন মানেনি স্বার্থের এই আকাশ বাঁধ - একমুখী হয়ে সব প্রয়োজন হয়ত এটাই নিয়ম
নারী ও মদে রঙ্গজীবিও সিন্দাবাদী ভূত - নীতির বাদুড় ঝোলায় নগরও সামাজিক জঙ্গল সামগ্র্য
রক্তের চেনা সিগন্যাল ক্ষুধায় বাঁচাটাই সংগ্রাম - এখানে আঁচল ও পকেট বয় লাল পতাকা
গভীর থেকে আরো গহীনে শিকড় তীব্রতা - আজকাল মহাকাল ছাড়িয়ে সবাই আড়াল জাগা
বাঁচার আশ্রয়ে সভ্যদের পরিচিত পড়ে থাকা - মুখোশ জনমে সবাই বাধানো নাগরিক
ভেতরটা গুহা বাইরে প্রকাশিত চামড়া - ঘড়ি কাঁটায় আবেগ কাটে তোমাদের নিয়নাহত সত্তা
পথ নেই তবুও চলা পথের হবে সৃষ্টি - সমকাল ছাপে আমিও একটা মুখোশ খুঁজছি ।।


দ্বিতীয় পুরুষ

দ্বিতীয় পুরুষ

ফয়সল অভি



রূপালী সূর্য জোনাকি হয়ে আমার জানালায়,

শুভ্র চাদরটা বড় বেশী এলোমেলো

দলিলবদ্ধ নারী আদিম উপলব্ধি মাত্র


অপ্রাপ্ত বীর্য - সত্যের গুমট হাওয়ায় অস্বস্তি

আমি দ্বিতীয় পুরুষ- দলিলবদ্ধ নারীর কাছে

যার নীল মেঘে প্রথম পুরুষ জল হয়ে ভিজে

অতীতের প্রথম প্রেমিক !


চারদেয়াল হঠাৎ মনে হয় কারাগার

আমার ঐশ্বরিক অনুভূতি আজ একমুখী;

দলিলবদ্ধ নারী কিংবা স্ত্রী আজও আলোড়িত ভিন্ন মুখোশে

সেই প্রথম পুরুষে !

আমি দ্বিতীয় পুরুষ-জোনাকির আড়ালে প্রতিরাতে ত্রুমাগত

উপভোগ কিংবা ধর্ষণ দলিলবদ্ধ নারীকে যে আমার স্ত্রী

পলাতক সমুদ্র

পলাতক সমুদ্র

ফয়সল অভি


বাড়ন্ত যৌবনবতীর কোলে পাড়ার লোকের কৌণিক ছোবল
দৃষ্টির বিকলাঙ্গ ধারায় ভেংচি কাটে স্বতন্ত্র নির্বাক সংবিধান
তবুও শিরায় উপশিরায় গিরগিটির প্রবাহ পাহারা এড়িয়ে
সমুদ্র অতলে একদৃশ্যে দিয়েছি মনযোগ;
দূষিত আর্তনাদ মিশে মোহনার শব্দ সাঁতার শীতল কাব্যে
ক্রমবর্ধমান যুগের লকলকে আশাবাদ,
কানে বাজে সমান্তরাল স্রোত পরিচিত সেই ছন্দ
আহত বাঘিনীর ঢেউ থেকে আচড়ে অন্তহীন নিস্তেজ হুঙ্কার;
অঘোর ঘুমে জগা সূর্যটা সন্ধানী জলের গায়ে উত্তাল নাচে
কখনও সন্দেহ উকি দেবতার চোখটা রূপালী হলে
সামগ্র্য অঞ্চল জীবন্ত এক আয়নায় উপলব্ধি যেন
আজকাল প্রতিফলনও কালাজ্বরে আক্রান্ত
বয়ে আসা রক্তবাহীর পুষ্টিহীনতা ও দখলে
নিঃশ্বাস জব্দ করে স্বনির্ভর পালে আজন্ম বাতাস
কই!! কোথাও তো জানা রাজ্যের উদ্বৃত চিহ্নই নেই,
দলিলের সেই পৃষ্ঠার খোঁজে এখন কি ঐতিহ্যে যাবো?
তবে অপরিকল্পিত কয়েকটা রেখা পাশাপাশি বিধ্বস্ত পুড়ে পুড়ে
গুপ্ত কালের ছলাকলায় পরিণত জমাট আজ শুধুই সাক্ষী,
দৃশ্যত প্রকৃতির সন্তানগুলো সমকাল কাটা ঘরে
অবশেষে বেওয়ারিশ হয়ে দাফন সভ্যতার লোভ কবরে,
পরবর্তী মঙ্গলবার সকাল-
হলুদ নীল সাদা কাগজে থৈ থৈ জ্বলন্ত শিরোনাম;
“জন্মান্ধ কনভেশন দানবে বন্ধ্যা হয়ে পলাতক আমাদের জল-খণ্ড”


বরাবরে কতৃপক্ষ>>> সমুদ্র বিষয়ক সুনিদিষ্ট নীতিমালা ও আইন চাই ।