শনিবার, ৬ মার্চ, ২০১০

পলাতক সমুদ্র

পলাতক সমুদ্র

ফয়সল অভি


বাড়ন্ত যৌবনবতীর কোলে পাড়ার লোকের কৌণিক ছোবল
দৃষ্টির বিকলাঙ্গ ধারায় ভেংচি কাটে স্বতন্ত্র নির্বাক সংবিধান
তবুও শিরায় উপশিরায় গিরগিটির প্রবাহ পাহারা এড়িয়ে
সমুদ্র অতলে একদৃশ্যে দিয়েছি মনযোগ;
দূষিত আর্তনাদ মিশে মোহনার শব্দ সাঁতার শীতল কাব্যে
ক্রমবর্ধমান যুগের লকলকে আশাবাদ,
কানে বাজে সমান্তরাল স্রোত পরিচিত সেই ছন্দ
আহত বাঘিনীর ঢেউ থেকে আচড়ে অন্তহীন নিস্তেজ হুঙ্কার;
অঘোর ঘুমে জগা সূর্যটা সন্ধানী জলের গায়ে উত্তাল নাচে
কখনও সন্দেহ উকি দেবতার চোখটা রূপালী হলে
সামগ্র্য অঞ্চল জীবন্ত এক আয়নায় উপলব্ধি যেন
আজকাল প্রতিফলনও কালাজ্বরে আক্রান্ত
বয়ে আসা রক্তবাহীর পুষ্টিহীনতা ও দখলে
নিঃশ্বাস জব্দ করে স্বনির্ভর পালে আজন্ম বাতাস
কই!! কোথাও তো জানা রাজ্যের উদ্বৃত চিহ্নই নেই,
দলিলের সেই পৃষ্ঠার খোঁজে এখন কি ঐতিহ্যে যাবো?
তবে অপরিকল্পিত কয়েকটা রেখা পাশাপাশি বিধ্বস্ত পুড়ে পুড়ে
গুপ্ত কালের ছলাকলায় পরিণত জমাট আজ শুধুই সাক্ষী,
দৃশ্যত প্রকৃতির সন্তানগুলো সমকাল কাটা ঘরে
অবশেষে বেওয়ারিশ হয়ে দাফন সভ্যতার লোভ কবরে,
পরবর্তী মঙ্গলবার সকাল-
হলুদ নীল সাদা কাগজে থৈ থৈ জ্বলন্ত শিরোনাম;
“জন্মান্ধ কনভেশন দানবে বন্ধ্যা হয়ে পলাতক আমাদের জল-খণ্ড”


বরাবরে কতৃপক্ষ>>> সমুদ্র বিষয়ক সুনিদিষ্ট নীতিমালা ও আইন চাই ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন