সোমবার, ৩১ মে, ২০১০

আবদুল গফ্ফার চৌধুরী'র ভালো মানুষ জয়নাল হাজারী বলেছেন; "বাঘ রক্ষা নয় ধ্বংস করব"

বরে প্রকাশ, সুন্দরবনের উভয় অংশে বাঘ রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারত একটি যৌথ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। বিশ্বব্যাংক নাকি এই প্রকল্পের অর্থ জোগান দেবে। যে বাঘ মানুষ হত্যা করে মানুষের মাংস খায়, সেই মানুষরাই মানুষখেকো বাঘকে রক্ষা করবে কেন? আমি বুঝতে পারি না। বাঘের দুধ কিংবা মাংস মানুষ খায় না, বাঘের হাড় কিংবা দাঁত, রক্ত মানুষের কোনো কাজে আসে না। শুধুমাত্র দেখতে সুন্দর সে কারণে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে বাঘ রক্ষার যুক্তি আমি খুঁজে পাই না।

বাঘ সবচেয়ে সুন্দর প্রাণী হরিণ খায়, মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় প্রাণী গরু, মহিষ, ছাগলসহ সবই মেরে খেয়ে ফেলে। এই হিংস্র ঘাতক প্রাণীটিকে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত করে দেয়া উচিত। ডিসকভারি চ্যানেলে যখন দেখা যায়, একটি হিংস্র বাঘ একটি সুন্দর নিরীহ হরিণকে মেরে ফেলছে, তখন গা শিউরে উঠে। বাঁচিয়ে রেখে নয়, বরং সব বাঘ মেরে ফেলে ওদের চামড়া দিয়ে জুতা তৈরি করা হোক। ওদের চামড়া ড্রয়িং রুমে সাজিয়ে রাখা হোক।

সুন্দরের জন্য বাঘ নয়, প্রজাপতি রক্ষা করা হোক। মশা মানুষের ক্ষতি করে, সেজন্য মশাকে মেরে ফেলা হয়, তাহলে যে বাঘ মানুষ খুন করে তাকে রক্ষা করা হবে কেন?

খবরে প্রকাশ, আইলা-বিধ্বস্ত এলাকায় এক বছরে বাঘের পেটে গেছে ৭২ জন মানুষ। আর প্রতিনিয়ত খবরে প্রকাশ হয়, নৌকা থেকে হঠাৎ মানুষকে নিয়ে গিয়ে বাঘেরা খেয়ে ফেলে। মোট কথা, যে বাঘ মানুষ হত্যা করে মানুষকে খেয়ে ফেলে আমি সেই বাঘের অস্তিত্ব রাখতে চাই না।

একদিন যখন আমি বাঁধনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম, তখন এদেশের প্রথম শ্রেণীর জাতীয় দৈনিকেও আমার বিরুদ্ধে সম্পাদকীয় লিখেছিল। আজ গণরোষের ভয়ে শুধু দেশ ছেড়ে নয়, বাঁধন বিদেশেও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মতো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি জানি একদিন অনেক মানুষই বাঘ রক্ষা নয় বরং বাঘ নিধন করতে চাইবে। আমি বাঘ রক্ষার বিরুদ্ধে শুধু সাধারণ অবস্থান নয়, এর বিরুদ্ধে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে তুলব।

লেখক: সাবেক সংসদ সদস্য, ফেনী।

( আজ ২৮ মে ২০১০ দৈনিক আমাদের সময়ে প্রকাশিত)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন