সোমবার, ৩১ মে, ২০১০

জামায়েত শিবির এর ধর্ম ব্যবসা নিষিদ্ধ হোক-ওরা ধর্ম বেশ্যা ।

গত বুধবার অনেকটা হঠাৎ করেই বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের ব্যাক্তিগত ইমেল ও মোবাইল নম্বরে জামায়াত নেতাদের পরিবারের নানা তথ্য প্রকাশ করেন শিবিরের একটা অংশ। এবং একই সংগে তথ্যগুলো পাঠানো হয়েছে জামায়াত ও শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও।

সেভ শিবিরের ব্যানারে শিবিরের বিদ্রোহীদের অভিযোগ, 'কর্মীদের ইসলামের পথে চলা আর সৎ মানুষ হওয়ার কথা বললেও জামায়াত নেতাদের পরিবার চলে ইসলামের বিরুদ্ধে। কর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখালেও জামায়াতের আমীর নিজামীসহ কোন নেতাই নিজেদের পরিবারে সেই স্বপ্ন দেখেন না। প্রথমেই বলা হয়েছে, 'জামায়াত এবং শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের ইসলামের কথা বলে, ভাল মানুষ হিসাবে চলতে বলে। এতে আমরা উজ্জীবিত হই, ইসলামের পক্ষে জীবন উৎসর্গ করতে উৎসাহিত হই, কিন্তু আমাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা হলো, এই জামায়াত নেতাদের পরিবারে তাদের সনত্মানরা কেউ ইসলামের পথে নেই। কেউ শিবির করে না। প্রথম দিনে জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর পরিবারের কথা তুলে ধরে শিবিরের অংশটি বলেছে, নিজামীর পরিবার দেখেই বোঝা যাবে তাঁরা নিজেরা কতটা ইসলামের পথে হাঁটেন। বলা হয়েছে, নিজামীর স্ত্রী সামসুন্নাহার নিজামী এককভাবে ইসলামী ছাত্রী সংস্থা এবং মহিলা জামায়াতকে নিয়ন্ত্রণ করেন, যা সম্পূর্ণ ইসলাম ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ। বলা হয়েছে, এই মহিলা (নিজামীর স্ত্রী) মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন। সেখানে অনেক টাকার হিসাব দিতে পারেননি। তার পরেও স্বামীর দাপটে কিছুদিন পদে টিকে থাকলেও একসময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে নিজেই একটা স্কুল খুলেছেন। কিন্তু স্কুল করার সব টাকা নেয়া হয়েছে জামায়াতের কর্মীদের কষ্ট করে জমানো ফান্ড থেকে, যা চরম অপরাধ।

নিজামীর বড় ছেলে তারেকের কর্মকান্ড- তুলে ধরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় নাইট ক্লাব, বার থেকে শুরু করে সব আজে বাজে জায়গাই ছিল তার অবাধ বিচরণের স্থান। বাংলাদেশে এসে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করার সময়েও তার বিরম্নদ্ধে ওঠে ছাত্রীদের সঙ্গে অসামাজিক কাজ করার অভিযোগ। বলা হয়েছে, নিজামী অন্যদের বললেও এই ছেলেকে কখানোই ছাত্রশিবিরের কোন কাজেই আসতে দেখা যায়নি। বিদ্রোহীরা বলেছে, নিজামীর অন্য সব ছেলেময়েরা তাদের বড় ভাইয়ের মতো চরিত্রহীন না হলেও কেউ ইসলামী আন্দোলনে ছিলেন এমন প্রমাণ দিতে পারবেন না নিজামী। বিদ্রোহীরা জামায়াত নেতাদের বিরম্নদ্ধে আনা অভিযোগকে ১০০ ভাগ সত্য দাবি করে বলেছেন, তারা আরও বলেছে এই ঘটনাগুলো মিথ্যা বলে আমীরদের পরিবার প্রমাণ করতে পারবেন না। শিবিরের এই অংশটি ঘোষণা দিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী, আব্দুস সোবহান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, মোহাম্মদ কামারম্নজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা, এটিএম আজহারম্নল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম খানসহ সকল জামায়াত নেতাদের পরিবারের ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনবিরোধী কর্মকা- প্রকাশ করা হবে।

সূত্র: http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2010-05-27&ni=19547

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন