শনিবার, ৬ মার্চ, ২০১০

আমি নিরপেক্ষ নই

আমি নিরপেক্ষ নই

ফয়সল অভি


আমার বাবা
সহ্যের পথ ধরে পাথর
পাড়ি দিয়েছে চুপের সকল পরীক্ষা
জানেনি পুত্রের লাশের ভার কতো ।

কিন্তু
দেবতা ঘরে যে বিপ্লবী ধূমকেতু
চার পায়ে বাড়ি ফিরে
উঠনে জন্মায় আরেক উন্মত্ত পদ্মা;
আমি দেখেছি
আমাদের শুনিয়েছে স্বয়ং ঈশ্বর ধারাভাষ্য ।

সবুজের পাতায় সবুজ স্বাভাবিক না হতেই
হঠাৎ ধ্বংস হলো গাছের কাঙ্ক্ষিত কুঠুরি!
ঝরতে ঝরতে মাটিও তল হারিয়েছে
মাটির লজ্জায় - জলও ঋণ নিলো
এতো প্রবাহে ঈশ্বরও ধুয়ে দৃশ্যমান হতো ।

শুধু
প্রহরের যে গুণে পরিত্যক্ত অধিকার
জাগেনি - পুনরুত্থান আর হয়নি
রক্তে রক্তের স্নানই হলো
পবিত্র হয়নি গ্লানির বয়ে বেড়ানো আস্ফালন;
আলো নির্বাসিত - ঠিকানা রুদ্ধ এখন জঙ্গল ।


তবুও
সমুদ্র কাঁধে নিয়ে ঠায় দাড়িয়ে
জাহাজের যে খবর আমি পাইনি
ব্যাপারীর ঘাট তবে বেদখল হোক
নিজ দরজায় বাঁধা সেই পাথর ভেঙ্গে ।

আমার বাবাও
ভার বহনে হাঁটতে হাঁটতে লাশ হয়ে যাক
শিশুপাঠে শেখায়নি কেন - যুদ্ধক্ষেত্রে কেউ আমজনতা নয় ।।


এখানে কাশি দেওয়া নিষেধ

"এখানে কাশি দেওয়া নিষেধ"

ফয়সল অভি


আজকাল কাশি দিলেই লোকজন ক্যামনে যেন তাকায়!!
আরে; আমি কি জনগণের চাকর নাকি রাণীদের পতি
কাশি রোগ তো নাই-বাপও তো কামলা দেওয়া পাবলিক
গুলশানের হাওয়ায় পেটের অসুখও নাই-বুকের ভেতর গোত্তা মারা কামনাও নাই-হাড্ডিও পাকে নাই
আমার যাত্রা পথ রিকশা থেকে দৌড়ে বাসে-বছরে এক ঈদে শপিং
প্রেমের জন্য দুটো টিউশনি সাথে দরদী ব্যাংক আম্মাজান
যিনি রেডিওর নিয়মিত আরজে সকাল বিকাল হার্ড রক শোনায়;
পরিবার আমায় নিয়ে ভাবে

এভ্রোসিয়ায় যাইতে পারি না-মাগার অবশ্যই দাওয়াতে কবুল রেডিসনের ঘ্রাণ নিয়াই
আমার ভাই ব্রাদারের বিশাল বাহিনী-ফাতেয়া তো নিয়মিতই চলছে
সেই স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুপড়ি পর্যন্ত;
পানি খেয়েই এই মাথায় চুল গজায়-ভাতের বদলে রুটি দৌড়ায় না-গো ধইরা বইসা থাকে
মোবাইলে sms দেই আর BMW হর্ণ দিলেই গুটি উদ্ধারে দমকল হইয়া যাই
গ্রামের উত্তরাধিকার স্রোতে আমার ও আমাদের শেষ ঠিকানা-পারিবারিক কবর স্থান
মামু কই যামু! মরলে তো চারটা কাঁধ লাগবো-ট্যাকা দিয়াই কি শুধু কাফন-দাফন-জানাজা?
মায়ে বাপে আটারোগুটি যদি নাই কান্দে-তইলে আর মইরা কাম কি??? ভাই ব্রাদার মেজবান খাইবো কতো আশা
আমরা পাশাপাশি থাকি-কাছাকাছি সময়েই আমাদের অন্তরবাস- একই ফ্ল্যাটে দুটো কোরিয়া নয়
তয় শালার কোরিয়ার পারমাণবিক বোমাও নাকি আছে-আমরা হালায় চুরির লাইগা খাম্বা লাগাই

তবে কি বিশাল!! এক সুখের অসুখ আছে আমার ও আমাদের
মা আগলে রাখেন আর বাবা হুদাহুদিই শাসনে আড়াল করে ভালবাসেন
কবিতার কথায় মা খামাকা হাসে, বলে:- ঘরের গরু গণ হাল হইয়া গেছে- ভাত বন্ধের হুমকি!
প্রতিরাতে বিশাল ভাষণে ভাত খাই- মানবিক এক সম্পর্কে-জীবন এখানেই জীবন হয়ে ওঠে
কর্পোরেট জানালায় এটা ক্ষে...ত ও আনস্যোশাল ডকুমেন্টারী-আস্তো ভেত্তো বাঙ্গাল
এ পাড়ায় পরিবার মানে মানুষ ও মানবিক বিন্যাস-ঈশ্বরের পাড়ায় এটার সংজ্ঞায় শরীর ও বিনিময়ের অর্থ সম্পর্ক
সকল পূর্ণতা-বিকট এক অপূর্ণতায়-মানুষ হতে হতে এভাবে শরীর হয়েই বেঁচে থাকে-শ্রেণীগত প্রাণী

পত্রিকার স্বাস্থ্য পাতায়: -
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক বলেছেন:- কাশি নৈতিকতা বিরোধী-তার ফলাফল রোগীর জীবন ধারনেই দৃশ্যমান রোগীর প্রশ্ন:- সুখের সকল উপাদানে-একটা সুখের বড়ি-কত দামে কেনা যায় ।।

পারিবারিক বাস্তুসংস্থান

পারিবারিক বাস্তুসংস্থান

ফয়সল অভি


মাটি কামড়ে এই যে সহস্র বছর – কত ক্ষুধা চাষ পায়নি – ষড়ঋতুর ভাঙ্গন জ্যামিতিক নিয়ম
পায়নি আকাশ মুখি স্বাভাবিক গড়ন – জমিনও বেহাল তাই সম্পর্ক বীজধান হয়নি
সুখের কাদায় আঙ্গুলের মায়া হয়নি – রোপিত গহীন সবুজ আজও সেই......অবুঝ
আইল জুড়ে সারি সারি সিন্দুক স্বপ্ন – হালও যে নাগাল পায়নি সম্পূর্ণ অনিচ্ছায়
বছরে বছরে ভিন্ন শস্য আগমন – আজান আর আজান! – যেন ওয়াক্তেই তোমার জনমত

চাষীর জন্য না ফসল শীষ লাইনে তুমি আহত মেজর – অপ্রকাশিত আজও সামরিক শ্বেত পত্র
যদিও ট্রুপে ছিল না সমকালীন প্রশিক্ষণ – তাই যুদ্ধাহত তুমি নিয়োজিত সেবায়–পারিবারিক রণাঙ্গন
ত্যাগী সূর্যে হলো না–কম ছায়া পারাপার! – এখন ত্যাগের কি তৃষ্ণায়......ত্যাগ প্রয়োজন

অবসর শিরায় শিরায় রক্ত বাঁধ – আজ তুমি দ্বীপ
যথাযোগ্য শহর ছেড়ে আর কত – মাটি কামড়ে এই মাটি হয়ে থাকা?

প্রতিবাদ ডুবায়

প্রতিবাদ ডুবায়

ফয়সল অভি


খোলসটা ছাড়ে নতুন খোলস - অপগত শ্বেতপাত্রে সহস্র কোলাকুলি
জনকথার কথাটা মৃত যেন দলগত কর্পোরেট অনুদান
কামড়ে মানচিত্র পাঁজর :- আগামী পাঁচ বছর দেশ আমার” ।
ডগডগে ঋতুয় দূরও দূরে সব মৌলিকই দেয়াল
নাগরিক আবহাওয়ায় বিরোধীর রুটিন অভিসম্পাত
পথের রাজে পুঁথি পাঠ আসর - সভ্যরা দর্শক ।

ঐ যে কাকের তীর্থ রুগ্ন কৃষকের ভাঁজ কাঁটা শরীর - স্ব-শ্রম সমকাল কারাদণ্ড
জল গায়-ডুব দেয়-বালি মাখে খলখলে পোড়া বুক
অঞ্চল আকাশে ধৈর্য চাক্ষুষ ক্ষোভ - চুপচাপ দরজায় শেষটা খোঁজ হারায় ।

সিংহাসনে দেব সাপ - কুশলে উন্নয়ন দুধ জমায়
গোটা গোটা হরফে দৃশ্যতঃ গোছানো সরকার উঠন
যেখানে দুধেল ধারাভাষ্যে দুধসর সুশীল দ্বীপ
মুখরিত তালি লাল নীল রকমারি রঙ্গজীবি
প্রাপ্ত রঙ্গিন পদক - শরীর ও মদ রেসিপির রাত
অন্দর ঘরে রাষ্ট্রীয় বাক্স - পাঁচওয়াক্ত ঐতিহাসিক তিলাওয়াত ।

শুধু আমরাই দেশীয় ঈশ্বর - ময়ূর পাখায় জাতীয় গাইড
তবুও থালাধরা জং প্রহর শেষে - সাফল্যটা গ্যালাসে গ্যালাসে সংবিধান পানি খায়
সেখানে সহটা বাঁচে বাসে - আজও অসভ্যরা বউ গায়ে প্রতিবাদ ডুবায় ।


সমকাল বলছি

সমকাল বলছি

ফয়সল অভি


আমাকে কাঁদিয়ে কাঁদে কান্না - কান্নারাও অথৈ জলজ ঝরায় জল
সেই জল শুষে হয় সমুদ্র ছাড়ায় অতলান্তিক প্রান্তর
এই জলেও জল তৃষ্ণা – উষ্ণতায় মাতম ঐ ময়ূরাক্ষীর চর
বোবা স্বর আড়াল খুঁজে আড়াল সমীকরণ - যা চিরকালই শূন্য ।
তবুও মরীচিকার মধ্য রাত, লুকাই আশ্রয় পাহাড়ী গহীন আলিঙ্গন
নিঃসঙ্গ বুক সভ্যতায় - আমি ছিলাম প্রত্ন তান্ত্রিক
ঠোঁটের গিরি খাত, চাহিদায় ঘেমে ঘেমে তোমার নিঃশ্বাস - যদিও
আমি আকাশ চেয়েছি, মেঘ চেয়েছি কখনও অঘোর বর্ষা চাইনি - বিশ্বাস করো!
সতীত্বের বাইবেল ছুঁয়ে বলছি যদিও এই বাইবেল স্বর্গ ন্যায় সাম্প্রদায়িক
প্রমাণ রাখে এই শরীর - প্রকল্প পরিচালক ও ঈশ্বর ভীষণ সাধু
দায় জাল এখনও গর্ভে গজায় চারা - প্রতিবারেই আমি আটকা
পৃথিবীর সৌন্দর্য ভারে এটাই আমার প্রদত্ত দাসত্ব ।
আমি জানি-আমার সমুদ্র নোনা ঘনত্বে জোয়ার আসে বিরক্তি
ভালবাসা গল্পে তেল রঙ, জল রঙ ও মাটি রঙ বড়ই প্রয়োজন
তাই দিয়ে থৈ থৈ আবেগময় প্রেম-ক্যানভাস
পরিণতির সংসার-লবণের বিষাদ ভাল লাগে
দাবানল দুঃখ জমিনে নষ্ট উর্বরতা - সংসার হয় অনিকেত চর ।
এই জন্মে ঈশ্বরও যে পক্ষ নিয়েছিল গতকাল, তারও আগে হয়ত আগামীকালও পক্ষ নিবে
নারী সৃষ্টি আদম সঙ্গ শুধুই পাশাপাশি-একসাথে- লীলার সঙ্গী একটা শৈল্পিক ছড়ি
সূত্রহীন ঈশ্বর তাই নারীর সংজ্ঞায় সমগ্র্য মাংসের গন্ধ
আর বিছানায় আমার গায়ে উদ্গিরণ সভ্যতার বিকাশিত চিহ্ন
আজ-কাল-প্রতিদিন ।
আমি দলছুট অসভ্য পিঁপড়ে বলি : -
“তিন আঙ্গুলে ঈশ্বরও পুরুষ হয়”
ধর্ম বইয়ের এই পাতা ছিঁড়ে পরিচিত আমাদের ওহী
তাই নারী শুধুই মাংসের গন্
সাহিত্যে-ধর্মে-বিজ্ঞাপনে- নিয়ন পল্লীতে-কথিত উত্তম পুরুষে -এই শহরে-মানচিত্রের প্রতিটি গুহায়
বিকিয়ে নিজ সত্তা নারী নিজেও কুকুর হয় নারীতে ।

দুঃস্বপ্ন জ্বর কিংবা কোন কবিতা নয়

দুঃস্বপ্ন জ্বর কিংবা কোন কবিতা নয়

ফয়সল অভি


চিহ্নিত হায়েনার সংক্রামিত দুঃস্বপ্নে পুড়ছে -সবুজ শুয়ে থাকা আমাদের প্রজন্ম
পূবপুরুষে কিছু স্বার্থ ভুল আর কাঁধে কাঁধ নির্লজ্জ বসবাস - ভয় হয়ে দাঁড়িয়ে দশক ভেঙ্গে দশক
সেই বিষ চারা আশ্রয় সিঁড়ি প্রশ্রয় - শেখর ছড়িয়েছে ভয়াবহ ক্যান্সার যা সাদা পর্দার দখল
দৃশ্যতঃ কোথাও সত্য নেই - ধর্ম পা লাগিয়ে পাড়ি চর-অনিকেত-অগ্নিপথ-আমাদের কাঙ্ক্ষিত পাঁজর ।
ক্রমাগত বাড়ছে জ্বর আগুন বয়ে বয়ে আগুন শরীর - বসত গেড়েছে একরোখা বিবেকের পরাজয়
রক্ত স্রোতে মিছিল, দাবি আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিচার - তবুও জন্ম সূত্রে দুঃস্বপ্ন সারা শরীর গিলছে এই দাবানল
মানচিত্রের লাল কুপিয়ে কুপিয়ে কাদায় আসন – কোথায় উৎস এই সাহস?-তবে কি পরিচিত অচেনা শত্রুয় প্রত্যাশাবাস?
আমি দলছুট অসভ্য পিঁপড়ে বলি : -
ওরা ধর্মবাদী-পেশায় ধর্ম বেঁচে খায়-ধর্ম বেশ্যা - এর নাম সাদা-পল্লী
যার পথে পথে রাজাদের পৃথক ছাপ স্বাভাবিক চলাচল - আমি আঙ্গুল রেখে জানিয়ে দেয় আড়ালের পরিচয়
আজো জননী রাত জেগে ভোর জাতীয় সংগীতে আরেকবার নিঃশ্বাস - যদিও স্থির-নির্থর-মানবিক অপ্রকাশিত কণ্ঠস্বর প্রজন্ম
এখনি চোখ মেলে প্রকাশিত সত্য কণ্ঠে জ্বর-ঘুম – ঘাম দিয়ে মুছে যাবে প্রজন্ম দুঃস্বপ্নের দৈব জ্বর ।


বি:দ্র: সকল রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের জানাজা ও কবর নিষিদ্ধ হোক কারণ ফতোয়ায় এক সময় এদেশে বেশ্যাদের কবর ও জানাজা নিষিদ্ধ ছিল-বেজন্মাগুলো বেশ্যার চেয়ে কম নয় ওরা ধর্ম বেশ্যা । 

এগারোটা চল্লিশ

এগারোটা চল্লিশ

ফয়সল অভি


বাধানো নীল মলাটে আরও কিছু সাদা জমিন

এখনও রক্তছোপে কালো মেঘ সাজানো হয়নি

রাজাদের শিকল ধুয়ে, মাটির তৃষ্ণায় জল খুঁড়ে

মানচিত্রের ধূলো উড়াই, সবুজ পবিত্রস্নানে লাল

ছিল যত অঙ্গীকার অতল থেকে অতল হয়ে

আমি রাজপথে চিহ্ন এঁকেছি বিপরীত হয়ে কাছে

ফাঁসির দড়ি হাতে, ঋণের প্রতিবিম্বে অবিরাম পিছু

স্বাধীনতার জারজ ও ধর্ম ক্রীতদাস

বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে সরু গলিতে, ফতোয়ায় নিষিদ্ধ সহস্র মতবাদ

আজন্ম কথামালা, দেয়াল আড়ালে থেকে আবার মানুষ পথে

এত দিন ছিল মিছিল মিছিলে, শ্লোগান আর কণ্ঠে, ছুটেছি প্রান্তর ভেঙ্গে অনিকেত

প্রতিবাদ, আয়না ঘরে দৃশ্য, দেয়াল লিখা, কাব্য ভীড়ে আরেকবার বিদ্রোহ

সমকাল হতে সঙ্কর যুগ যেন পরতে পরতে, মানবতার পতাকা আশঙ্কার গায়ে


সময় পায়নি, ভালবাসা রাস্তায় নগ্ন পায়ে নিঃশ্বাস

কাঙ্ক্ষিত আলিঙ্গন, সূর্য ছেয়ে স্নিগ্ধ নৃত্যে জানায়নি জমানো অনুভূতি

প্রাণের তাজা স্রোতে ক্লান্তির আজ চোখ, আশাবাদী শঙ্খচিল এখন আশ্রয় খুঁজে খোঁজ

এগারোটা চল্লিশ ছুঁয়ে, তোমার অপেক্ষার দরজায় বেসুরো আমার হারমোনিকা

আজও কি দূরত্ব শেষে ভালবাসায়, হবে পরীক্ষা পুনরায় ?

ঋতুর প্রণয়ে পর্বত স্মৃতি

ঋতুর প্রণয়ে পর্বত স্মৃতি

ফয়সল অভি



রঙ সঙ্গমে তুলির তরঙ্গ এস এম সুলতানের অতীত ফ্রেম
সেখানে নকশির থাকে থাকে বুনা দোআঁশ আকাশে বাবুই বাসা
তার নীচে গাছটা একহাতে দাঁড়ায় এক কিশোর ছায়া
খোলা খয়েরী দূর তাকায় জানালা/টুপ করে ঢুকে সাঁকো পালিয়েই জামদানী
গুটি গুটি মার্বেল আঁকা বসন্ত কাঁধে কৈশোর কবিরাজী স্বাদ
সবুজ ছাতার ভাগাভাগী বর্ষায় দেয়াল বৃক্ষে শৈল্পিক যত আলাপ
কাদায় কাদায় আঁকা আমাদের প্রজাপতি ছিল কাঁঠালচাপার ঘুড়িও দর্শক
মাছরাঙ্গা সাঁতরায় টইটই পুকুর বসে খেয়ালী বৈশাখ ঝুম ঝুম আখড়া
ধান কোমরে ফড়িং এর লেজ সেই সুতা বাঁধা স্বপ্নের আসমানী বেশ
বর্গার বানে দিনের সাক্ষী লুঠ চাষও দৌড়ায় হৈ হৈ নালিশের কান
প্রহর ফোটায় ঝোপ ঝোপ জোনাকির আমাদের মুঠোয় মুঠোয় সার্কাস
সূর্যাস্ত চোখে মা বিপরীত পাতায় দুরন্ত ছিল স্লোগানে উর্বর কণ্ঠ জমিন
সিঁড়ির পাঠ বিলিকাটা স্বপ্নলোকে ভাটা বয় চোখ থৈ থৈ জ্যোৎস্না
শিউলি বিসর্জন ভোর উঠন বুক/সুর সুরে ইট ভাঙ্গা আজানের বড় দায়
আলিঙ্গন বাসা বাঁধে অতল আলিঙ্গন আজ ঋতুর প্রণয়ে জমে জমে পর্বত স্মৃতি
বাড়নের মড়ক এখন প্লাস্টিক সময় তবুও জানালায় দলছুট পিঁপড়ের চিরচেনা শৈশব

ঘুম

ঘুম

ফয়সল অভি


গহীন মনের শালিক বন্দী বাসায় ঠোক্কর দিয়েছে গতকাল
ঠোক্করে ঝরছে নোনাধরা ঢেউ আমার কড়াহীন দরজায়
দরজার সেই কড়া তোমার জঠরে ভালবেসে কত আগেই: -
তোমার হাতের বালা হয়েই ছিল
সময় ঘাড়ে সময় চেপে কিছু ঘ্রাণ>কিছু ছোঁয়া>সামগ্র্য রঙ্গিন ।
তুমিই তো আগলে সর্বপ্রহর তবুও কেন আজ অজানার ভান ?
সেই অজানায় বয় নোনা ঢেউ এ বিরহ চাষ দিচ্ছে মনের ফসলী জমিন
এখন পথ ভিজে পথের বর্ষা>মেঘ জ্বরে মেঘেরও আজ ভীষণ অসুখ
আমার হৃদয় কাঠের আসমান>হারায়ে কর্ম বৈরাগ্য অচেনা শূন্যতা
আমি দলছুট অসভ্য পিঁপড়ে বলি: -
পালিয়ে বাঁচি তাই দুঃখ ঘুণ-আশ্রয় তবে এখন
ঘুমে ঘোর-অঘোরে ঘুম-চোখ ঘুম-কথা ঘুম
শ্বাস ঘুম দীর্ঘ-কালো সমুদ্রে সাদা ঘুম
ঘুম ঘুম আরো ঘুম 
 

একটা মুখোশ খুঁজছি

একটা মুখোশ খুঁজছি
ফয়সল অভি


উড়াল দিয়েছে শীত নিদ্রায় এক কুয়ারবেঙ - জমিন ফাটলে কেটেছিল যার সতেরটি গ্রীষ্ম
ফাল্গুনী ভেজা মন সেই অতীত পৃষ্টায় - যেখানে স্বরলিপি কোলে শরৎ বাস করেছিল
খোলা বুকে ধান শীষ মাথা উঁচু দাঁড়ায় - দূরে ঢেউ কামড়ে ঢেউ সেই পুকুর ছিল দুরন্ত
জনপদ যেসুরে কুয়াশা গেয়েছিল - সবুজ ছন্দ ডুব দিয়ে বৈরাগ্য ডুবায়
পারাপারে কর্ম শরীর দৌড়ায় জনপদ - সবি হারাচ্ছে ক্রমশঃ হারিয়ে পেছনও পালায়
মেঘেরা ঝরবে বলে শহর ও প্রহর মুখোমুখি - নেমে দাঁড়িয়ে একা একদম একা

আজ সম্মুখ স্বপ্ন অদেখা প্রান্তর - অগোছালো দৃষ্টিই নির্বাক এখন আমি দর্শক
মাথাঢাকা সংলাপে ব্যস্ত সবার অভিনয় - জলপাই প্রাচীরে কোমায় কর্পোরেট মনুষ্যত্ব
কনভেশন মানেনি স্বার্থের এই আকাশ বাঁধ - একমুখী হয়ে সব প্রয়োজন হয়ত এটাই নিয়ম
নারী ও মদে রঙ্গজীবিও সিন্দাবাদী ভূত - নীতির বাদুড় ঝোলায় নগরও সামাজিক জঙ্গল সামগ্র্য
রক্তের চেনা সিগন্যাল ক্ষুধায় বাঁচাটাই সংগ্রাম - এখানে আঁচল ও পকেট বয় লাল পতাকা
গভীর থেকে আরো গহীনে শিকড় তীব্রতা - আজকাল মহাকাল ছাড়িয়ে সবাই আড়াল জাগা
বাঁচার আশ্রয়ে সভ্যদের পরিচিত পড়ে থাকা - মুখোশ জনমে সবাই বাধানো নাগরিক
ভেতরটা গুহা বাইরে প্রকাশিত চামড়া - ঘড়ি কাঁটায় আবেগ কাটে তোমাদের নিয়নাহত সত্তা
পথ নেই তবুও চলা পথের হবে সৃষ্টি - সমকাল ছাপে আমিও একটা মুখোশ খুঁজছি ।।


দ্বিতীয় পুরুষ

দ্বিতীয় পুরুষ

ফয়সল অভি



রূপালী সূর্য জোনাকি হয়ে আমার জানালায়,

শুভ্র চাদরটা বড় বেশী এলোমেলো

দলিলবদ্ধ নারী আদিম উপলব্ধি মাত্র


অপ্রাপ্ত বীর্য - সত্যের গুমট হাওয়ায় অস্বস্তি

আমি দ্বিতীয় পুরুষ- দলিলবদ্ধ নারীর কাছে

যার নীল মেঘে প্রথম পুরুষ জল হয়ে ভিজে

অতীতের প্রথম প্রেমিক !


চারদেয়াল হঠাৎ মনে হয় কারাগার

আমার ঐশ্বরিক অনুভূতি আজ একমুখী;

দলিলবদ্ধ নারী কিংবা স্ত্রী আজও আলোড়িত ভিন্ন মুখোশে

সেই প্রথম পুরুষে !

আমি দ্বিতীয় পুরুষ-জোনাকির আড়ালে প্রতিরাতে ত্রুমাগত

উপভোগ কিংবা ধর্ষণ দলিলবদ্ধ নারীকে যে আমার স্ত্রী

পলাতক সমুদ্র

পলাতক সমুদ্র

ফয়সল অভি


বাড়ন্ত যৌবনবতীর কোলে পাড়ার লোকের কৌণিক ছোবল
দৃষ্টির বিকলাঙ্গ ধারায় ভেংচি কাটে স্বতন্ত্র নির্বাক সংবিধান
তবুও শিরায় উপশিরায় গিরগিটির প্রবাহ পাহারা এড়িয়ে
সমুদ্র অতলে একদৃশ্যে দিয়েছি মনযোগ;
দূষিত আর্তনাদ মিশে মোহনার শব্দ সাঁতার শীতল কাব্যে
ক্রমবর্ধমান যুগের লকলকে আশাবাদ,
কানে বাজে সমান্তরাল স্রোত পরিচিত সেই ছন্দ
আহত বাঘিনীর ঢেউ থেকে আচড়ে অন্তহীন নিস্তেজ হুঙ্কার;
অঘোর ঘুমে জগা সূর্যটা সন্ধানী জলের গায়ে উত্তাল নাচে
কখনও সন্দেহ উকি দেবতার চোখটা রূপালী হলে
সামগ্র্য অঞ্চল জীবন্ত এক আয়নায় উপলব্ধি যেন
আজকাল প্রতিফলনও কালাজ্বরে আক্রান্ত
বয়ে আসা রক্তবাহীর পুষ্টিহীনতা ও দখলে
নিঃশ্বাস জব্দ করে স্বনির্ভর পালে আজন্ম বাতাস
কই!! কোথাও তো জানা রাজ্যের উদ্বৃত চিহ্নই নেই,
দলিলের সেই পৃষ্ঠার খোঁজে এখন কি ঐতিহ্যে যাবো?
তবে অপরিকল্পিত কয়েকটা রেখা পাশাপাশি বিধ্বস্ত পুড়ে পুড়ে
গুপ্ত কালের ছলাকলায় পরিণত জমাট আজ শুধুই সাক্ষী,
দৃশ্যত প্রকৃতির সন্তানগুলো সমকাল কাটা ঘরে
অবশেষে বেওয়ারিশ হয়ে দাফন সভ্যতার লোভ কবরে,
পরবর্তী মঙ্গলবার সকাল-
হলুদ নীল সাদা কাগজে থৈ থৈ জ্বলন্ত শিরোনাম;
“জন্মান্ধ কনভেশন দানবে বন্ধ্যা হয়ে পলাতক আমাদের জল-খণ্ড”


বরাবরে কতৃপক্ষ>>> সমুদ্র বিষয়ক সুনিদিষ্ট নীতিমালা ও আইন চাই ।

স্রোতস্বতীর বৈরাতকাল

স্রোতস্বতীর বৈরাতকাল

ফয়সল অভি


গলে গলে গলছে পর্বত গড়িয়ে স্রোতস্বতীরা
আপ্লুত জন্মে কাঁচা জমিন খলখলে তাদের আবেগ
কচি প্রসবে কান্নায় ফলন, সংস্রব, জীবিকা;
সংবাদে কোথাও কোথাও স্বপরিবারে পাখির ঝাঁক
সাহস বাস একদম পাঁচিল কেটে ঘেঁষা
আবার কেউ কেউ চাদরে পাড়ি মফস্বল
মুড়ির-টিন যোগযোগ ড্রইং রুমে পানি সম্পদ;
ধীরে ধীরে জানাজানি ঘুমন্ত যৌবন
পদ্ম, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা
নীরদের গানে, ঋতুর প্রসব বেলায় বৈরাত পালকি
ওরা যায় ছলকে ছলকে, ঢেউ এ ঢেউ এ হুনহুনাহুনহুন ।
আগুন পথ হাঁটে পথের যত রূপ; পোড়াটাও পুড়ে পোড়ায় সবুজ, ছাঁদের জোৎস্না
শবের বিছানা, ঈশ্বরখানা, বৈদেশিক থুতু চাটা অবশিষ্ট নমুনা
পোড়ে পাড়াময় দাউ দাউ করে গিলে
সং ভেঙ্গে সার, আঁচলও আঁচল জড়ায় তলায় তাঁত স্বর
জলে জলজ লাটিমের শৈশব,কানামাছির জট্লা
ইসকুলও পালায় জোনাকির, দৃশ্য বন্দী জাহাজী বনায়ন
লাল ভিটে জানালা, জলুস বৃদ্ধের শেষ অন্নও যায়
প্রান্তে মহাসড়ক, দেশের ভেতরই শিবির উদ্বাস্তু
চোখ চোখে তাকিয়ে, দেশবাসীর চলমান ছবিয়াল উৎসব
লড়াইয়ে দুর্যোগজীবির কচ্ছপ কামড়, থামার থামা নেই ;
তাড়নায় কামনা আহা! যৌবন বয় কড়কড়ে স্রোতস্বতী ছলাৎ ছলাৎ হুঙ্কার..........
কাল বৈরাতে ফতোয়ার মুরব্বিরা, প্রকল্প ছোবল যাত্রা কাঁধে
একদম গলায় গলা বেধে, বালি পর্দা শত শত হাত
যদিও বেহায়া, জলজবতীর বৈরাত ঘোমটা
আবারও চক্র, চক্কর দায় ঘুরে ঘুরে প্রসববতীর বৈরাত
গলছে গলাছে, খসছে খসছে, খণ্ড খণ্ডে
তাড়নায় কামনা আহা! যৌবন বয় কড়কড়ে স্রোতস্বতী ছলাৎ ছলাৎ হুঙ্কার..........

 

প্রতিদান

প্রতিদান

ফয়সল অভি


না; একদম ভাল লাগছে না
আর কাক ভেজা হয়ে তীর্থের বৃষ্টি
মন আর মানছে না,
ক্ষয়ে যাওয়া পিচের পথ এখনও অপেক্ষায়
বিষন্ন হাওয়া মাঝে মাঝে দূর থেকে দূরে
ছুঁয়ে যায় ক্লান্ত দৃষ্টি নোনা শরীর ও দীর্ঘশ্বাস;
যেখানে শঙ্কায় বজ্রপাত, আগে আলো তারপর পরিণতি
ঐ যেন পরিচিত শলিকটা অবিরাম গাইছে
তবুও সাদা কাশফুল আজ বড়ই চুপচাপ,
কোথাও যেন নদীর স্রোত নেই
সেই যে গেলে নীলের খোঁজে চেনা সীমানায়;
কত শত ছবি আঁকি, শুধুই রেখা বালির ভাঁজে
এখনও আমি দাঁড়িয়ে পুরনো মেঠো রাস্তায়

কাদা মাটি শেষ হয়ে রুক্ষ পাথর
তবুও তোমার পায়ে ফেরার চিহ্ন নেই
স্বাগত সুরে গর্ভবতী আকাশ প্রসব করেছে আগেই,
আজও জানলাটা খুললে না চিঠির খোঁজে
আর কত বয়ে যাওয়া নিয়মের মাঝে
আর কত যৌবন খোলস বদলালে যমুনায় ঢেউ হবে

এই প্রশ্নের জবাব আমি নিবোই
হয়ত নারী, রক্তাক্ত ধ্যানে;
এই তৃষ্ণার্ত সময়ের প্রতিদান আমি দিবোই
হোক অসীম আয়না যতই জমিনে

শহরে সভ্যরা দাঁড়িয়েই ঘুমায়

শহরে সভ্যরা দাঁড়িয়েই ঘুমায়

ফয়সল অভি


কংক্রিট নগরে শিশির জমে না কুয়াশার দূষণজ্বর
সূর্য তো বেশ ক‌’বছর ধরে সাদা বেডে কাতরাচ্ছে
ওটাকে ক্রমাগত ধর্ষণ করেছে
উচু তারও উচু দালান ও সামগ্রিক উন্নয়ন পিপাসা
পরিশেষে জলাবদ্ধতা ও বিশৃঙ্খল এবং
মানচিত্রের শাখা-প্রশাখা গুলো সরকারী হাসপাতালে
সময়ের কাটাছেঁড়ার অপেক্ষায়

চোখে চশমা নেই যে রঙ্গিন হবো
তাই প্রতিটি রঙ আমার কাছে দৃশ্যত সম্ভব,
অতঃপর মেনে নিয়ে পরিণত নাগরিকদের ভিড়ে
কর্পোরেট মুখোশে আধুনিক আয়নায় যত বিজ্ঞাপন;
“সবুজের ছায়ায় এক স্বপ্নের আবাস, মূল শহরের খুব কাছেই”

আড়াল থেকে স্রোতে ভিন্নতার পোশাকে
এখন কান পাতলেই কামের শব্দ শোনা যায়
কেননা দেয়ালেরও থাকার জায়গা নেই
তবুও জলপাই রঙ্গের প্রাচীর অবিরত
জানলার শেষে অদেখা শৈশবটা রেখেই যায়,
যেন নিঃশ্বাস নিয়ে বসবাস ক্রমশঃ
পাঠ্য বইয়ে বিতর্কিত চেনা অজানা ইতিহাস

যেন স্বাভাবিকদের কোলাহলে রাজপথ ফুটপাথ, এগলি ওগলি,
বিল ঝিল নদী, ঐ ছোট্ট ঘাসহীন মাঠ, সংসদভবন,
মসজিদ মন্দির, চুপিচুপি বলি; ঐতিহ্যের সেই নন্দিনীও আজ প্রাসাদ ছাড়া,
বিতর্ক, ব্যানার, কলাম, প্রবন্ধ ও মিছিলে; টকশো, আবেদন, মানববন্ধন ও স্লোগানে
মধ্যরাতের খবরে এবং কবিতার নির্বাক শব্দে
আমার একটাই সংলাপ
শহরে সভ্যরা দাঁড়িয়েই ঘুমায়

বরষ পক্ষীর পরিণয়লিপি

বরষ পক্ষীর পরিণয়লিপি

ফয়সল অভি


মেঘবতী আকাশ থৈ থৈ রূপে আজ অহঙ্কারী
জ্বালিয়ে নিঃসত্ত্ব ভেজা মাটির অবসন্ন ভোর, দুপুর ও বার্ধক্য বিকেল;
এ ঋতুয় পাড়ার লোকেরা তৃষ্ণার্ত দ্যামাগের বড়ই বিক্ষেপ
যেন অপ্রকাশিত চাপা রোষ শিল্পপাড়ার উষ্ণত্ব অগ্রহায়ণে,
উঠন বাঁধ আষাঢ়-জায়নামাজে বুড়ো কাকেরা
আক্ষেপ সুরে দেয় সহস্র অভিশাপ
তবুও প্রখর নৃত্য পাড়াময় অস্তিত্বের কামগন্ধের চলন
ফলাফল; পিচের লোলুপ মরীচিকায় অসহ্য ইচ্ছের চাপানো ফতোয়া
প্রতিরোধে বিপ্লবী স্লোগান নিয়ে অন্দরমহলে আমার সভা
সিন্ধান্ত; বরষ পক্ষীর পরিণয়লিপি একগুঁয়ে কর্তৃপক্ষ বরাবর : -

"ঈশ্বর আজ একটু আগেই বিছানায় যেও
তাণ্ডবলীলার খণ্ডে খণ্ডে উদ্দাম বর্ষণ এর উৎস হয়ও,
বাদামী চামড়ার বাড়ন্ত তৃপ্তির বলি এখনি চড়ালাম
ঈশ্বর আজ একটু আগেই বিছানায় যেও" ।
 

পৃথিবীর ঈশ্বর

ফয়সল অভি


ধূসর দেয়ালে সাদা ঘরের ঠিক পশ্চিমে
সাদা পেটের কালো মাকড়সা
চোখাচোখি অষ্টাদশী গর্ভবতীর অনেক স্বপ্নে,
দুইটি প্রজাতির অবিরাম কষ্টের সুখ
নতুন আগমনের ভোর স্নিগ্ধতায় ।

জন্ম সহস্র মাকড়সা ধীরে ধীরে
খাবার হয়ে মৃত্যু যে জন্মদাত্রী,
অসীম প্রসবে স্বর্গ দরজা হয়ে যে শিশু কাঁদে
মা হয়ে সে নারী নক্ষত্র পৃথিবী আকাশে ।

মাতৃত্বের বন্ধনে মহাবিশ্বের ঈশ্বরও অসহায়
মৃত্যুকে মুচকি হাসিতে অনির্বাণ - পৃথিবীর ঈশ্বর মা ।

রতিক্রিয়ার পরবর্তী উপলব্ধি

রতিক্রিয়ার পরবর্তী উপলব্ধি

ফয়সল অভি



দেয়ালে অল্প আলোর সবুজ বাতি
লণ্ডভণ্ড গোছানো সামগ্র্য ভূ-খণ্ড
ঘোলাটে চোখ জমাট বাঁধা রক্ত শরীর
পাহাড় চূড়ায় স্বর্গ ছুঁয়ে অঝোর বৃষ্টি
এখনি থামল;
নোনা স্রোত ক্লান্ত তপ্ত হয়ে এখন শীতল
উচু উচু নিশ্বাস
রতিক্রিয়ার সদ্য যাত্রায় সমাপ্তি
ঐশ্বরিক অনুভূতি তীব্র সীমায়
শেষ ক্ষণস্থায়ী,
অতঃপর ঈশ্বরের সৌন্দর্য যে নারীতে
উত্তাল ভ্রমণ ছিল খানিক আগে
মায়াহীন মাংস খণ্ড পড়ে থাকে
খুব কাছে দূরত্বের বাইরে,
জোয়ারে ভিজে লবণাক্ত নদীর মতো
সাময়িক পানের অযোগ্য
যেন শূণ্যে বসবাস
যা অনূভূতির মাঝামাঝিতে
কয়েক মুহূর্ত স্থির কিন্তু সত্য ।।